Thursday, March 23, 2017

India In A Day


INDIA IN A DAY

A Parallel Idea

     This geek talk is about the latest google initiative, a full length feature film by Indians. Its the first ever Crowd sourced film in India, and possibly first ever in the world. I can't imagine how difficult the job was. Like seriously the footage of this film has to be like 500 TB or more. I appreciate the hard work of google, Ridley Scott, Anurag Kashyap and Richie Mehta. And sincerely i am literally spellbound after watching the film. 
     There is no specific story line or plot. This is rather a Docu-feature kinda film. The typical Indian day. From the midnight to the end of the day. Every part of India had contributed at least a piece of video. I really forgot how versatile is my country, and the immense number of people showing their feelings made my day. It was a joyful and peaceful ride through my own country.  

Saturday, March 18, 2017

Films, Anyone Should Watch Before Filmmaking

Films From 1995-2005 That Will Help You Understand The First Part of Film making- THE STORY.

   Cinema has its perks to take control of our emotion.Today's filmmakers constantly trying to provoke our thoughts and intelligence during a film. Cinema is not just a source of infinite entertainment, its a infinite source of knowledge also. Great filmmakers inspires us to be like them. We often feel so much power in a single movie that it changes our life's purpose. To me the number of this kinda films are huge. I will try to give a subtle list of films which will include the various aspects of film making

1. Oldboy (2003)
 

Oldboy is a highly acclaimed and critically acknowledged Korean movie directecd by Park Chan-wook. This is a mystery/crime thriller inspired by Japanese Manga. Oldboy follows a revenge story in a very brutal, sexual and raw manner. The story is not for all, cause its kinda disturbing to some people's eyes. But a filmmaker should watch this film many time during self preparation, because oldboy teach us the perfect use of melodramatic acting and method acting. And lensing is a big factor to tell a story. In which scene which character will stand where and the main thing which lens should you use to deliver a proper dialogue or action? Oldboy will give you your answers promptly.

2Amélie (2001)

 

This is a french film directed by eminent director Jean-Pierre Jeunet . This film is very simple but very much thought provoking. This state of the art romantic comedy tells a beautiful story of a beautiful girl in a very sweet and delicious way. Cinematography and story telling gave this piece a boost to flourish the cinematic moments.The perfect balance of jump cut and match cut flows like water in a river. An aspiring Filmmaker can gain knowledge of how to tell a story by watching this film. You should learn widely about color toning, color harmony, contrast, plot, sub-plot, cinematography, BGM and editing from this masterpiece. 

3. The Color of Paradise (1999)
 

An flawless saga of a blind boy. Persian in language, directed by honorable filmmaker of Iran, Majid Majidi. The context of this film is the simplest of all. A very natural Drama/Family plot lines. This film is highly acclaimed for its smart way to tell the story. In fact the feeling is like you know what is going on or what will go on in the next scene, but you cant unseen what you see. This film is a must watch for the use of light while giving a dialogue or how environmental ambiance can help to tell the simplest story of all.

4Life Is Beautiful (La Vita è bella) (1997)
 

This epic masterpiece acted and directed by famous Italian, Roberto Benigni. And he got oscars for both after this film. Which is totally dignified. This Drama film contains a large number of social messages and the true sufferings of Jewish people during the world war. But despite of the main concept this film is a dramatic comedy with a lots and lots and lots of humor and feel good moments. This film teaches us that its not necessary to tell a serious story in a serious manner. We can entertain our audience and educate them simultaneously. Sometime Smiling out of a problem is the best. If you want to learn how to tell your story simply and beautifully, this is the film you must watch.


5. The White Balloon (1995)
 

A Drama Film directed by Jafar Panahi, an Iranian rebel filmmaker. Along with Abbas Kiarostami, who wrote the screenplay. This Film is purely based on Iranian culture and human behavior. For this most of they called it a behavioral text. This Film can be a big help in Screenwriting, plot mapping, sub-plot hunting and many more. 


Sit down and watch this 5 film back to back, i give you my word that you will feel the hangover of it days after days. And fundamentally it will help you understanding the 1st part of filmmaking, which is THE STORY. 

These five are generated by my personal interest only. Time period is 1995 to 2005. The middle age of our generation.   

Friday, March 17, 2017

তপ্ত ছাগল - কথোপকথন ৪


আগেরদিন বেচারা ঠিক মনের মতো করে কথা বলতে পারেনি মেয়েটার সাথে। ওর নিজের ছাগলতা ছেড়ে ও মানবতার দিকে পিছলে যাচ্ছিলো বারবার, ব্যাপারটা ঠিক জমেনি। সেই দুঃখ নিয়ে আমাদের ছাগলভায়া আজ পথে নেমেছে কিছু কাঁচা খিস্তির আসায়। বেশিদূর যেতেও হয়নি। কিছুদূর এগিয়েই রাস্তার মোড়ে গাছের তলায় একটা রিকশাওয়ালা মনের সুখে ছিলিম ফাটাচ্ছিলো।

ছাগল - যাবে নাকি?
রিকশাওয়ালা - হাঁ বাবু। ... সারেন ইটা কি মাল দিলো গো।
ছাগল - তুমিও সারেন এর মাল টানো ?
রিকশাওয়ালা - পেত্নী ধরসে গো আমায়। নিশি ডাকলো গো। খেয়ে নিলো গো।
ছাগল - আমরা বোধহয় শুধুই পাতা খাই। তোমরাই বোধহয় আমাদের কেটে খাও।
রিকশাওয়ালা - নাঃ ভরদুপুরে নিশির ডাক ভালো নয়।
ছাগল - আরে ধুর বানচোদ, কিছু ক্ষতি করার হলে কি এতক্ষনে করার সুযোগ ছিলোনা?
রিকশাওয়ালা - খাইছে গো মা। ছাগলে খিস্তিও মারে মাগো!
ছাগল - এইতো এতক্ষনে নিশি থেকে ছাগলে নামলো, যাক!
রিকশাওয়ালা - কেউ বিশ্বাস করবেনা আমার কথা। মাথা খুটে মরে গেলেও না। আর আমি সারেন এর মাল টানবোনা। কিসব মেশায় এখন ভগবান জানে। মাগো আমায় বাঁচাও।
ছাগল - এতো আচ্ছা গেঁজেল। কিছুতেই মানবেনা। এইযে ভায়া একটু মাথা ঠান্ডা করে শোনো আমার কথাটা।
রিকশাওয়ালা - কি কথা শুনবো? একটা ছাগলের কথা কেউ শোনে?
ছাগল - অনেকেই তো শুনছে, তোমার শুনতে আপত্তি কোথায়?
রিকশাওয়ালা - ভালো! শোনাও তালে।
ছাগল - আগে বলো নদীর ধার যাবে কিনা?
রিকশাওয়ালা - পয়সা দিলে কেন যাবোনা?
ছাগল - আচ্ছা সে দেবখন। এবার চলো।
রিকশাওয়ালা - ২০ টাকা লাগবে কিন্তু।
ছাগল - ২০ টাকা??? এত্ত?
রিকশাওয়ালা - নাহলে টোটোতে যান।
ছাগল - সে নাহয় যাবো টোটোতে আরেকদিন, আজ তুমিই নাহয় চলো।
রিকশাওয়ালা - চলো।
ছাগল - এই বোকাচোদা গ্যাঁজাল, রিক্সাটা কি আপনাআপনি চলবে নাকি? চালাবেটা কে?
রিকশাওয়ালা - এই দেখেছো ভুলেই গিছলাম, রিকশাতে তো হাওয়াই নাই। চেনটাওতো গেছে। আপনি অন্য রিকশা দেখে নেন।
ছাগল - তুমি কি সকাল থেকেই এখানে বসে ছিলিম ফাটাচ্ছ?
রিকশাওয়ালা - হে হে ওই আর কি!
ছাগল - বাহ্! আমারও দিন বেকার যেতে পারে তার মানে। ভালো। এইযে রিকশা শুনছো, তুমি না গাঁড় মারাও বুঝলে। তোমরা পাল্টাবেনা। একই গাঁড়মারানী থাকবে। ধুর!
রিকশাওয়ালা - বাঁচলাম মাগো! দুগ্গা দুগ্গা! কি শয়তান নিশিরে বাবা, খুব জোর বেচেছি। আর সারেন এর মাল নয়।

সাইক্লোন ২


সময়ের অবসন্ন সিঁড়িতে বসে
আমার মন আজ কুলি চায়।
মেশিনের ভিড়ে আমি একলা বসে-
সবাই ধাক্কা মারছে, গালি দিচ্ছে, খুবলে নিচ্ছে, ফেলে দিচ্ছে।
আমার একটি লাল গোলাপ।
Add life to days, no days to life.
তাও আমার চিতা আমায় ডাকছে-
কাঁদছে জোরে জোরে, চিল্লাছে, পুরো শরীর ছেড়ে দিয়ে
বিসন্ন দৃষ্টিতে আমায় খুঁজছে।
আমি আড়ালে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
কেউ আমায় আশ্রয় দিচ্ছেনা।
কেননা আমার শরীর বিকৃত,
আমার স্বর চিৎকৃত, কেননা
আজ সাইক্লোন।

বিদ্যাসাগরের সভ্য অসভ্যের সীমানা পেরিয়ে,
দুদেশের no man's land - এ আজ দাঁড়িয়ে
আমি চাষ করছি গোলাপ ফুলের।
সভ্যতা আমি মানিনা।
জানিনা কিসে কি হয়।
তবুও আমি ভালোবাসি তোমায়।
মন থেকে, না গোপনাঙ্গের সাড়ায় না,
লাল গোলাপের ইশারায়।
তাই আমি আজ একা।
কারণ, আজ সাইক্লোন। 

Thursday, March 16, 2017

সাইক্লোন


কালো রাস্তায় মেঘ জমেছে,
ধোঁয়া উঠে যাচ্ছে উপরে আমার রক্ত দিয়ে-
তার নিচে একা এক ফোয়ারা,
জ্বলন্ত লাভার আগুনে ফুল ফুটছে-
তোমার চোখ আমার স্বাদেন্দ্রিয়কে জাগ্রত করছে-
এটা কি হচ্ছে?
আমি কি পাগল হলেম?
ধোঁয়ায় কি আজ আমার জীবন কুয়াশাছন্ন?
জীবনের লালা গড়িয়ে পড়ছে
গোপনাঙ্গ দিয়ে।
আমি মুছে যাচ্ছি অনবরত,
বইয়ের পাতায় পড়লো সেই লার্ভা-
কালো অক্ষরগুলো হলো নীল ;
আমার ক্ষুধাতুর বাসনায়,
জেগে থাকা কামনায়,
আজ সাইক্লোন।

কীসের এত মোহ, কীসের এত পরিক্রমা?
সাইকেলের চাকায় হাওয়া দিয়ে যায় আমার মানিব্যাগ ;
তার নীচে উত্তঙ্গ হিমালয় পর্বতমালা,
তাতে জেগে উঠেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা-
এভারেস্ট কে ছোঁয়ার আশায়।
কিন্তু মারিয়ানা খাতের স্বর্গ থেকে
আজ ধোঁয়া উঠছে-
হচ্ছে সুনামি, হচ্ছে ভূমিকম্প,
নেমেছে ধস, পড়ছে রস, পড়ছে লালা, পড়ছে শিশু।
আজ জীবনের শেষতম নির্বাসনে
আমার মুখের ভাষা বিলম্বিত।
তাই আজ সাইক্লোন।

Sunday, March 12, 2017

আসক্তি


আমার প্রথম চুম্বন;
সেই সাদা লম্বা আসক্তিটিকে।
প্রথম অনুভব, প্রথম বুলডোজার চলে
আমার বুকে, আমার বুদ্ধাঙ্গ ঘুরেছিল।
কিন্তু তাও আমি ছাড়িনি তাকে,
মুখ তখন কুয়াশায় ভর্তি।
সেই কুয়াশা ভেদ করে ঝড় উঠছে বারবার-
তাও আমি তাকে ছাড়িনি।
চাইনি ঝড়ে এ কুয়াশা হারিয়ে যাক,
তাই আজও তাকে চুম্বন করি অনবরত-
আসক্তির আশায়।

Friday, March 10, 2017

P N P C


ভোলা - কিরে! কোথায় যাচ্ছিস?
হোলা - বাজারে ভাই! খবর কি তোর?
ভোলা - আর খবর! খবর আজকাল সবারই ভালো আবার সবারই খারাপ। ওসব ছাড়, তোর চাকরির খবর বল।
হোলা - চাকরি চাকরির জায়গায় আছে। কোনো উত্থানও নেই পতনও নেই। যেরম লাস্ট দেখেছিলি সেরমই আছি। তা তুই করিস কি আজকাল?
ভোলা - আমার আর কি বল, বাবার দোকানটার কথা মনে আছে?
হোলা - কেন থাকবেনা?
ভোলা - ওই দোকানটাই একটু সাজিয়ে গুছিয়ে বসেছি। খুব বড় কিছু নয়।
হোলা - তাই নাকি রে? সেতো ভালো খবর। কোনদিকে দোকানটা? কাকুর তো মুদির দোকান ছিল তাইনা?
ভোলা - আরে মুদির দোকানই তবে একটু মডার্ন ডেকোরেশন আরকি, ওই শপিং মলের মতো।
হোলা - আরে পাগলা করেছিস কি? তা দোকানটা কোনদিকে রে? তোদের বাড়ি ঢোকার মুখে যে গলিটা আছে সেটার একদম উল্টোদিকের গলিটা দিয়ে একটু এগোলেই তো? তাইনা? যাবো একদিন অবশ্যই।
ভোলা - হ্যা ঐদিকেই, আর একটু এগিয়ে গিয়ে। তা তুই বাজারে কি করতে যাচ্ছিলিস ?
হোলা - এই রে! একদম ভুলে গেছি দেখেছিস! তাড়াতাড়ি যেতে হতো আমাকে একটু।
ভোলা - আরে চল না, এগোই চল। আমিও ঐদিকটাতেই যাচ্ছিলাম।
হোলা - চল চল।
ভোলা - একটা কথা বলবো? মানে খারাপ ভাবে নিবিনা তো? আমি কিন্তু জাস্ট কিউরিওসিটি থেকে বলছি।
হোলা - তুই আবার কবে থেকে এত ফর্মাল হলি ভাই?
ভোলা - সেই বয়স কি আর আছে রে? এখন সব কথাই ভেবে বলতে হয়। যাইহোক তোর ব্যাপারে মানে তোকে নিয়ে একটা খবর শুনলাম, সেটা কি সত্যি? ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড!
হোলা - সত্যিও আবার মিথ্যেও। হে হে!
ভোলা - হাসিস না ভাই, যদি সত্যি হয় তাহলে তুই এখানে দাঁড়িয়ে হাসছিস কিকরে সেটাই তো আমার মাথায় ঢুকছেনা।
হোলা - তোরা স্কুলে আমার নাম হোলা কেন দিয়েছিলি মনে আছে?
ভোলা - ভাই তখন তুই হোলাই ছিলিস। ট্রাস্ট মি। সবার কথা বিশ্বাস করতিস, যে কেউ তোকে কেলিয়ে যেত। কিন্তু তার সাথে এই ঘটনাটার কি সম্পর্ক?
হোলা - সম্পর্ক আছে ভাই, বিশাল বড় সম্পর্ক আছে। সেই স্কুলের অভ্যেসটা আমি বড় হয়েও কাটাতে পারিনি। এখনো সবাই আমায় যখন তখন বোকা বানিয়েই যায়।
ভোলা - সেটা বলিসনা রে, তুই কিকরে জানবি বল, এই ঘটনাগুলোর সময় মানুষ বড়ই অসহায় হয়ে যায়। তোর জায়গায় যে কেউ থাকলে তার সাথে এটাই হতো। তুই নিজেকে এত দোষ দিসনা।
হোলা - কিন্তু আমার জায়গায় তো আমি নিজেই আছি রে। অন্য কেউ তো নেই। ছাড় আমি এই গলিতে ঢুকবো, তুই নিশ্চই সোজা যাবি?
ভোলা - হ্যা এইতো আমারও সামনেই কাজ। ভালো থাকিস ভাই। মনকে শক্ত রাখ। বয়স এমন কিছুও বেশি হয়নি তোর। এখনও সময় আছে। টাটা!
হোলা - টাটা ভাই!
.
.
.
ভোলা - এ ভাই হোলাকে মনে আছে তোদের?
খোলা - ওই উদগান্ডুটা তো? হ্যা হ্যা! মনে থাকবেনা কেন?
ভোলা - ওর বৌ ভেগেছে শালা ওর দাদার সাথে।
খোলা - আরে আমিও শুনেছিলাম কিন্তু বিশ্বাস হয়নি।
ভোলা - আমারোতো বিশ্বাস হয়নি ভাই, এই জাস্ট ওর সাথে দেখা হলো, ওর নিজের মুখ থেকে শুনলাম, একদম সত্যি কথা।
খোলা - সিরিয়াসলি? এরম ও হয়? শেষ এ ভাসুরের সাথে ভাগলো? বিয়ে কতদিন হলো যেন ওদের?
ভোলা - এইতো ২ বছর মতো।
খোলা - ২ বছর ধরে তারমানে ভেতরে ভেতরে ওসব চলছিল আর কেউ শালা টেরও পেলোনা?
ভোলা - আর হোলা তো আমাদের হোলাই আছে, একটুও বদলায়নি, এরম ছেলেপুলেগুলোর সাথে এরমই হয়।
খোলা - ঠিক রে। লাগাম অলটাইম নিজের হাতে রাখতে হয় ভাই, নইলে এরম কেস যখন তখন যে কেউ খেতে পারে।
ভোলা - তুই আমার জিনিসগুলো দিয়ে দে, দোকানে আজ আবার সবাই আসেনি কাজে, ফিরতে হবে।
.
.
.
ভোলা - তোমার দেওয়া খবরটা সত্যি। আজ জয়ন্তর সাথে দেখা হলো রাস্তায়, আমি চেপে রাখতে না পেরে বলেই ফেলেছি। ও নিজে স্বীকার করেছে।
ভোলার বৌ - বলেছিলাম। তা শুধু ভাসুরকে নিয়েই ভেগেছে না গয়নাগাটি, টাকাপয়সা সব নিয়ে ভেগেছে?
ভোলা - এইরে সেটাতো জিজ্ঞেস করিনি। আচ্ছা আমি পরে জেনে নেবো।
ভোলার বৌ - আরে আসল কথাটাতো জিজ্ঞেস করবে নাকি, তো শুনলেটাকি? শুধুই ভেগেছে?
ভোলা - ওই আর কি, ওগো শুনছো! তুমি পালালে কার সাথে পালাবে গো?
ভোলার বৌ - যে পালিয়ে নিয়ে যাবে তার সাথেই পালাবো। তোমার সাথে সংসার করার থেকে যে কারোর সাথে ঘর করা ভালো।
ভোলা - তা অবশ্য তুমি ঠিকই বলেছো। হে হে! কিন্তু কে নিয়ে যাবে তোমায়?
ভোলার বৌ - জয়ন্তর ভাসুরের মতো লোক কি কম আছে নাকি পৃথিবীতে? পৃথিবী ছাড়োনা, আমাদের পাড়াতেই কি কম আছে নাকি?
ভোলা - অমনি সব দোষ ভাসুরের হয়ে গেলো না? মেয়েটাতো যেন কিছু জানেইনা, ভাসুর ওকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে, দুধের শিশু আমার। যত্তসব, রাখো তো ওসব ফালতু কথা।
ভোলার বৌ - আহা আমি কখন বললাম যে মেয়েটার দোষ নেই, মেয়েটার দোষ তো অবশ্যই আছে, কিন্তু এসব ক্ষেত্রে ছেলেরা সাহস না দিলে মেয়েরা আগে কিছু করেনা। পাকা কথা বলে দিলাম আমি যাও।
ভোলা - আচ্ছা বাবা ঠিক আছে যাও এবার, নিজের কাজ করো, রাত বাড়ছে, খিদে পেয়েছে।
ভোলার বৌ - যাচ্ছি যাচ্ছি দাড়াও, শুধু তো ভাত করতে হবে, এত চিন্তা করছো কেন?
ভোলা - ধুর!
ভোলার বৌ - এত চিন্তা কোরোনা প্লিজ, আমি কারোর সাথে ভাগবোনা, ভেগে যাওয়ার হলে এতদিন ভেগে যেতাম। আর তাছাড়া পাড়াতে সেরম কেউ নেই যার সাথে ভাগব, হে হে!
ভোলা - ধুর!

Thursday, March 9, 2017

একসময়


একসময় স্বাধীন ছিলো মানুষ,
বেঁচে থাকতো কঠিন পরিবেশে।
একসময় নরম ছিল মানুষ,
বেঁচে থাকতো আবার ফিরে এসে।

একসময় প্রবল ছিলাম আমরা,
ঝড় ঝঞ্ঝা ভয়ে যেত সরে,
একসময় হিংস্র ছিলাম আমরা,
আশেপাশের সবাই যেত মরে।

নিয়ম মেনে চলতে গেলে-
পিছল রাস্তায় পিছলে গেলে-
অনেক খাবার খেয়ে নিলে-
বদহজম হয়।

রাস্তা ধরে হাটতে গেলে-
পিছন ফিরে চাইতে গেলে-
কেউ ছেড়ে চলে গেলে-
ভীষণ কষ্ট হয়।

কালসকালে উঠে দেখবো
মাঠে কেউ খেলার নেই,
আজরাতেই শুয়ে ভাববো,
জড়িয়ে কেউ ধরার নেই।
তবু আমরা বেঁচে আছি।
তবু আমরা বেঁচে থাকবো।
মানুষ বড় জিনিস গো দিদি,
আজীবন গান গাইবো।

Tuesday, March 7, 2017

তপ্ত ছাগল - কথোপকথন ৩


অনেক্ষন ধরে পিছু নিয়েছে মেয়েটার। খুব হালকা ডার্ক থিওরির গন্ধ পাচ্ছে ছাগলভায়া। মেয়েটা প্রথমে একটা ওষুধ এর দোকান থেকে কিছু একটা কিনলো, ছাগল তখন উল্টোদিকে নাদি ছড়াচ্ছিল। মেয়েটা তারপর হাটতে হাটতে একটা দোকানে ঢুকে একটা জলের বোতল কিনলো, ছাগল তখন উল্টোদিকে মাথা চুলকোনোর নামে একটা ল্যাম্পোস্ট গোঁতাছিলো। তারপর মেয়েটা একটা ছোট পার্ক এর মতো জায়গার একটা বেঞ্চ এ বসে বোতলটা সবে খুলেছে -

ছাগল - বাহাত্তর?
মেয়েটা - হোয়াট দা ফাক! কি হয়েছে আমার! ছাগলের ব্যা ব্যা কে বাহাত্তর শুনছি।
ছাগল - আমি বাহাত্তরই বললাম, আনওয়ান্টেড ৭২ না আই পিল?
মেয়েটা - আচ্ছা ঠিক আছে চলো মেনে নিলাম একটা ছাগল কথা বলছে। আমার কোনো আপত্তি নেই. বাট একটু প্রিমিটিভ কথা শুনলে শকটা কম লাগতো এই আর কি! এতটা স্যাভেজ নিতে পারলাম না সরি।
ছাগল - সার্কাস্টিক রিপ্লাই! এটা ফার্স্ট। যাইহোক সবকিছুরই একটা প্রথম থাকে বলে শুনেছিলাম একযুগে কিছু একটা।
মেয়েটা - একটাই প্রব্লেম।
ছাগল - কি?
মেয়েটা - আমার সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া অনুযায়ী সবই নরমাল আছে, শুধু একস্ট মানে সম্বোধন করবো কিভাবে সেটাই গুলিয়ে যাচ্ছে। যারা 'ইট' ক্যাটাগরিতে পরে তাদের কী বলে ডাকতে হয় আমি জানিনা।
ছাগল - 'তুমিটাই' ভালো গো, অন্যগুলো কানে সইবে না।
মেয়েটা - হ্যা তোমার কানদুটোতো একটু বড় আবার।
ছাগল - ব্যা ব্যা! আমার প্রশ্নের উত্তরটা?
মেয়েটা - স্যারিডন। বললামনা এতটা স্যাভেজ নিতে পারলাম না।
ছাগল - সরি, আমি ভাবলাম হয়তো বয়ফ্রেন্ড কন্ট্রোল করতে পারেনি।
মেয়েটা - কন্ট্রোল? কোনোদিন তো কন্ট্রোল হারাক। কোনোদিন! প্লিজ!
ছাগল - সরি, আমি ভুল জোনে ঢুকে পড়েছি। বাঁড়া ছেলেগুলো একই থেকে গেলো সেইযুগ থেকে, মেয়েগুলোর কি উন্নতি লেওড়া।
মেয়েটা - তুমি কি ২২ শে শ্রাবনের প্রসেনজিৎ থেকে ইন্সপিরিত?
ছাগল - খানিকটা, শুধু লুক্সটা বাদ দিয়ে।
মেয়েটা - হে হে ! সেটা অবশ্য ঠিক, বাট হোয়াট ইস ইওর পারপাস অন দিস প্ল্যানেট?
ছাগল - অবসার্ভ। মেমোরাইজ। রিপোর্ট।
মেয়েটা - হুম! কোনো গভীর ব্যাপার আছে এর মধ্যে মনে হচ্ছে!
ছাগল -আচ্ছা তুমি কি গ্যাজা টানো?
মেয়েটা - এটাকি আমার মুখে লেখা আছে নাকি?
ছাগল - না জাস্ট এমনি।
মেয়েটা - হ্যা টানি, বাট ওনলি রাতে। তোমারো চলে নাকি?
ছাগল - হুম! ওই আর কী!
মেয়েটা - আমি এবার যাবো। থ্যাংক্স টু ইউ এন্ড স্যারিডন।
ছাগল - অবশ্যই! একটা লাস্ট কোয়েস্টেন।
মেয়েটা - কি?
ছাগল - একটা ঘোড়া আর ছাগলের মধ্যে কি ততটাই পার্থক্য যতটা একটা ছেলে আর একটা মেয়ের মধ্যে?
মেয়েটা - হোয়াট?
ছাগল - নেক্সটদিন দেখা হলে উত্তরটা দিও।
মেয়েটা - খুবই দুর্বোধ্য রেফারেন্স, শিট! কিন্তু আমি ড্যানিয়েল রেডক্লিফের ভালোমতো একটা ফ্যান। ইকুয়াস আমিও দেখেছি। গুড ওয়ান। ফাক ম্যান! কি মারাত্মক একটা ছাগল রে বাবা।
ছাগল - উত্তরটা?
মেয়েটা - নেক্সটদিন, বললাম তো। বাই।


তপ্ত ছাগল - কথোপকথন ৪ - https://fibstar.blogspot.in/2017/03/blog-post_61.html 

উত্তাল শ্মশান


কাকে ছেড়ে যে কার হাত ধরি?
একদিকে সেই নারী,
আরেকদিকে অক্সফোর্ড ডিকশনারি।
বালিশের নিচে কাঁদে সে,
ভিজে যায় রিংটোন।
টেবিলের তলায় পাওয়া গেলো -
হারিয়ে যাওয়া টেলিফোন।

সকালবেলার কাগজের সোঁদা গন্ধ,
পুকুরপাড় ফাঁকা।
মন আমার মেতেছে আনন্দে,
তাই উপমাহীন আজ চাকা।

সুসজ্জিত শরশয্যায় শায়িত শ্মশান,
আর হেটে চলে যায় তুফানী মরুদ্যান।
দুপেয়ে জন্তুর যান্ত্রিক আচরণে
পৃথিবী আজ স্তব্ধ।
তোমার উত্তীয় দুধেলের ইশারায়
আমার শায়িত শ্মশান মুগ্ধ।
যেতে চায় সে, অনুমতি চায় প্রবেশ করার।
কিন্তু কেন টেনে ধরে আমায়
ডিকশনারির করুন কণ্ঠস্বর?

Monday, March 6, 2017

Fake Promises

Its not sexy to talk butter to me.
I learn enough what i had to be.
Its a modern day, modern way;
something they will never say.

Follow the rules, the guidelines?
And what about my slogans, signs?
We need equity, above all bullshit.
But after ages it will still repeat.

Fuck the police, fuck the system!
This words & you will be condemned.
Equity will be nothing but a word,
if we do not unify our sword.

Talking about revolution, evolution?
All i see just the horrify caution.
This is not the human race we learned.
One by one all of us is getting burned.

Utopia is not the salvation of life,
nor a calculated move of knife.
What we did, makes us guilty.
What we do. lets not count fit.

After-all there is an alternate
universe where we already did it.


Thursday, March 2, 2017

তপ্ত ছাগল - কথোপকথন ২


সেই ছাগলটি আগে এরকম ভাবেই ঘুরে বেড়াতো। আপনমনে এরকমই খিস্তিখেউড় করে বেড়াতো। কিন্তু প্রবলেমটা ছিল যে কেউ বুঝতোনা ওসব কথা। কারণ???
কারণ আর কিছুই না, আগে যারা গ্যাঁজা টানতো প্রথমত তারা বেশিরভাগই অশিক্ষিত ছিল আর দ্বিতীয়ত তারা সংখ্যায় খুবই কম ছিল। তাই ছাগলভায়া আজকাল কথা বেশি বলে কারণ তার ব্যা ব্যা বেশিরভাগ লোকের কানেই বাল বানচোদ হয়ে ঢোকে। লাঞ্চটাইম এ কি মনে করে ছাগলটি গিয়ে উপস্থিত হলো ডালহৌসি অফিসপাড়ায়। গলায় আইকার্ড ঝোলানো, ফর্মাল জামাপ্যান্ট পরিহিত একজন রিফার টানছিলো আপনমনে। ছাগল কি মনে করে দিলো তাকে এক ঢুঁসো পেছন থেকে। ধরা যাক ছেলেটার নাম প্রেসার -

ছাগল - শালা ! পেছনটা দ্যাখো কেউ এসে ; এ বালটা অফিসে কি দুটো চেয়ার দেয় তোকে বসতে?
প্রেসার - হোয়াট? আই মিন এটা কি ধরনের অসভ্যতা?
ছাগল - ভাই আমার বাবা আমায় কোনোদিনও শেখায়নি যে মোটাকে মোটা বলিসনি, কানা কে কানা বলিসনি, লেওড়া কে লেওড়া বলিসনি।
প্রেসার - তুমি আমায় মোটা বললে?
ছাগল - আমি তোকে তিনটেই বললাম হোঁদল। মোটা তো তুই অবশ্যই। কানা যে আছিস সেটা আমায় ধাক্কা মারার টাইম এই বুঝেছিলাম। আর লেওড়াটা তুই নিজেই প্রমান করে দিলি।
প্রেসার - আমি তোমায় ধাক্কা মেরেছি? লায়ার লায়ার প্যান্টস অন ফায়ার !
ছাগল - নে বাঁড়া লাগা আগুন আমার প্যান্টে। লেওড়া! তোর কি ব্লোজব লগ্নে জন্ম নাকিরে?
প্রেসার - ধুর! এরম বোলোনাতো, একে চাপে আমার হালুয়া টাইট হয়ে যাচ্ছে আর তুমি কিসব বলছো।
ছাগল - আরে পাগলাচোদা! নারে আমারি ভুল, তোর পিরিয়ড লগ্নে জন্ম।
প্রেসার - তুমি কি এরমই চালাবে? তাহলে আমি গেলাম, লাঞ্চ আওয়ার শেষ, আমার রিফার ও শেষ।
ছাগল - আরে ভাই রাগ করিসনা, সব খিস্তি আমি মন থেকে দিইনা। কিছু কিছু জাস্ট ফর এন্টারটেইনমেন্ট পারপাস। বল তোর এত চাপ কেন?
প্রেসার - আরে ধুর! আর চাপ! দ্যাখো আমি একদমই সাধারণ স্টুডেন্ট ছিলাম।
ছাগল - এখন ও আছিস। ... আচ্ছা সরি প্লিজ ক্যারি অন।
প্রেসার - হাঁ তো কোনোরকম এ গ্রাজুয়েট হয়ে এই ৮০০০ টাকার চাকরিটা করছি। তাও কতদিন টিকে থাকবো কোনো গ্যারান্টি নেই। আমাদের মতো স্টুডেন্টদের জন্যই তো প্রাইমারি আর হাইস্কুল এর চাকরিগুলো ছিল তাইতো?
ছাগল - বলে যা, থামিসনা। যা ইমোশন আছে বের করে দে।
প্রেসার - আর ইমোশন ! হুঁহ! নাচ গানটাও বাবা শেখায়নি যে ওগুলো করেও কিছু একটা হয়ে যাবে। পড়াশোনা ছাড়া কিচ্ছু জানিনা। লিটারালি ! আরে বিড়ি সিগারেট এর দোকান দিতেও আত্মসম্মান এ লাগবে। তাহলে করবটা কি বলো? ৮০০০ টাকায় কতদিন চালাবো?
ছাগল - ভাই আমার, এত বুঝে গেলে আমি আর ছাগল হলাম কেন বল? কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার হলো আজ আমার কাছে।
প্রেসার - কি?
ছাগল - তোদের জেনারেশনটার না সিরিয়াসলি গাঁড় মারা গেছে। তোরা হোলি মিডল চাইল্ড অফ রেভোল্যুশন। না আছে পাস্ট এর এক্সপেরিয়েন্স আর না আছে ফিউচার এর কমিটমেন্ট। শালা! তোরা গ্যাঁজা টানবিনাতো কারা টানবে?
প্রেসার - এই শোনোনা তুমিতো খুব জ্ঞানী ছাগল বলে মনে হচ্ছে, প্লিজ একটা উপায় বলোনা। প্লিজ!
ছাগল - ব্যা ব্যা ব্যা!
প্রেসার - এই কোথায় যাচ্ছ? এই ছাগল। দাড়াও, বলে যাও কিছু একটা।
ছাগল - মিডল চাইল্ড, মিডল চাইল্ড ব্রো! রেডি টু বি ডিপ্রাইভড ওয়ানস এগেইন।


তপ্ত ছাগল - কথোপকথন ৩ - https://fibstar.blogspot.in/2017/03/blog-post_0.html