Monday, January 4, 2021

 

Ratan O Postmaster

Screenplay By Arka Pravo Ghosh & Suparna Polley

Adapted from the Short Story “Postmaster”, Written by Rabindranath Tagore






PIRATES COPY PRESENTS


POSTMASTER -  ARPANBANDHU MAJUMDER

RATAN-  PARVEEN KHATUN 


ARKA PRAVO GHOSH- CAMERA, LIGHT, DIRECT

AMRITENDU ROY- LOGSHEET, TOTALITY , CONTINUITY

SUPARNA POLLEY- COSTUME, MAKE-UP, CONTINUITY 

TUHINA BAG- SET, PROPS, CONTINUITY

( SHOOTING STILLS FOR ALL)


PLACE- KHYAMASHULI , MIDNAPUR

SHOOTING DATE- 7TH SEP TO 12TH SEP, 2019








SCENE 1


EXT: VILLAGE ROAD: CLOUDY AFTERNOON

    

নদীর জলে মেঘের ছায়ার hyperlapse , নৌকা দুলছে / over  the  tree , jimmy-jib shot. 

    গ্রামের top angle এএকটা pan shot. বৃষ্টি আসবে আসবে করছে এরকম b-roll . 

 একজন ধুতি পাঞ্জাবি পরা কলকাতার বাঙালি ছোকরা ছেলে একহাতে কার্পেটের ব্যাগ, ছাতা আর অন্য হাতে একটা ট্রাঙ্ক নিয়ে জমির আলপথ ধরে ধীরে ধীরে হাটছে। ধীর গতি নতমস্তকে সাবধানে পা ফেলছে ভেজা রাস্তায়। আকাশে ঘন কালো মেঘের জোয়ার আর তার সাথে বিদ্যুৎ এর বাড়বাড়ন্ত। বৃষ্টি আসবে আসবে করছে। একটি বিদ্যুতের আওয়াজের সাথে music (আমায় ভাসাইলি রে!) 

কাট টু জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একজন ছুটে যাচ্ছে pov শট। একটা পুকুরের জলের ছায়াতে একজন ছুটে যাচ্ছে। wide reverse pull shot এ দেখা যাচ্ছে যে একটা গ্রামের মেয়ে দৌড়োচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। সাইড ম্যাক্রো প্রোফাইল শট এ মেয়েটার মুখ টা reveal হচ্ছে স্লো মোশন এ গানের সাথে বিট মিলিয়ে । 

কাট টু ওয়াইড শটে নদীতীরে সেই ছোকরা সব জিনিস নিয়ে কোনোরকমে একটা নৌকায় উঠছে। ছেলেটা সব জিনিস রেখে নৌকোর একদম সামনে গিয়ে বসছে। তারপর আস্তে আস্তে পেছন ফিরে দেখছে। মাঝি দাঁড় দিয়ে ঠ্যালা মেরে নৌকা ছেড়ে দিচ্ছে। বাইরে ঝড় উঠেছে আর তার সাথে ছেলেটার মনেও ঝড় উঠেছে। নৌকাটা যত ঘাট থেকে দূরে যাচ্ছে , ছেলেটার মুখচোখ শক্ত থেকে আস্তে আস্তে নরম হচ্ছে আর দূর থেকে নদীর ঘাটটা দেখে যেদিন ও প্রথম এই গ্রামে এসেছিলো সেই দিনটার কথা মনে পরে যাচ্ছে। music fade out. Dissolve to.



SCENE 2


EXT: RIVERBANK: EARLY MORNING


নৌকা টা  ধীরে ধীরে এসে ঘাটে লাগছে। ছোকরা ছেলেটি নৌকো থেকে নামছে খুব সাবধানে আর একজন গোমস্তা তাকে হাত ধরে নামাচ্ছে। একজন শ্রমিক জাতীয় লোক নৌকা থেকে ট্রাঙ্ক টা নিয়ে মাথায় তুলছে। ছেলেটি হাতের ব্যাগ আর ছাতা গোমস্তাকে ধরতে দিয়ে নামতে গিয়ে জলে পা পরে যাচ্ছে। গোমস্তা শ্রমিককে ব্যাগ দিয়ে এসে ছেলেটির হাত ধরে সাবধানে টেনে তুলছে। 


গোমস্তা

“ সাবধানে, দেখে পোস্টমাস্টার সাহেব। ধুতিটা ভিজে যাচ্ছে। “


পোমা

“ হে হে! আসলে ঠিক অভ্যেস নেই তো। চলুন।”


পোমা গোমস্তার কাছ থেকে ছাতা টা নিয়ে নিজের ধুতি-জামাকাপড় ঠিক করে নিয়ে একবার চারপাশ দেখে উত্তেজিত হয়ে বলছে,


পোমা

“কোনদিকে? “


গোমস্তা হাত দেখাচ্ছে, শ্রমিক সেদিকে চলতে শুরু করে। 



SCENE  3


EXT: PADDY FIELD, POND, FOREST: CONTINUOUS


জাম্প কাট এ ওয়াইড এ দেখা যাচ্ছে শ্রমিক ট্রাঙ্ক মাথায় আর ব্যাগ হাতে নিয়ে আগে আগে যাচ্ছে আর পিছনে পোস্টমাস্টার ছাতাটা লাঠির মতো করে হাতে  নিয়ে গোমস্তার সাথে গল্প করতে করতে যাচ্ছে। 


পোমা

“ নীলকুঠিটা কোনদিকে? “


গোমস্তা

“ ওইযে ঐদিকে বাবু। পোস্টাপিস টা ওই উল্টোদিকে। আর তার পেছনের জঙ্গলটা পেরোলেই আপনার আটচালা। “


পোমা

“ আটচালাতেই রান্নার ব্যবস্থা আছে তো না কি?”


গোমস্তা  

“ ওহঃ আপনাকে তো বলতেই ভুলে গেছি বাবু। আমাদের নীলকুঠির সাহেব পোস্টমাস্টারের দেখভালের জন্য একটা মেয়েকে রেখেছেন। “


পোমা 

“ মেয়ে মানে?”


গোমস্তা 

“ বাচ্চা মেয়ে বাবু। রতন নাম। খুব অভাগী গো বাবু। গত বর্ষায় বাপটা মাঠে কাজ করতে করতে বিদ্যুৎঝলকে মরে গেলো। সেই দুখ্যে মাটা বুক ফেটে মরে গেলো। তার কিছুদিন পরেই চিকিস্যের অভাবে ভাইটাও অসুখে মরে গেলো। তারপর ওই আমাদের নীলকুঠির সাহেবের বাড়িতেই থাকে। আপনার ঘরের সব কাজ ওই করে দেবে। আপনাকে কিচ্ছু চিন্তা করতে হবেনি।” 


পোমা

(অবাক/দুঃখ)

“ হুম!”


তারপর তারা গল্প করতে করতে একটা পানাপুকুরের ধার দিয়ে যাচ্ছে। পুকুরের কিছু শট। 


গোমস্তা ( একদিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলছে)

“ ওই যে বাবু, আপনার পোস্টাপিস।”


পোমা সেটা শুনে দাঁড়িয়ে যায়, দূর থেকে পোস্ট অফিস টা দেখছে।


গোমস্তা

“যাবেন নাকি বাবু একবার”?


পোমা “না” বলে  সামনে  এগিয়ে  যাচ্ছে। তারপর তারা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ( শুরুতে শ্রমিক , মাঝে  পোস্টমাস্টার  আর  পিছনে গোমস্তা )। 


Cut to.



SCENE 4            


EXT: ATCHALA: CONTINUOUS


গল্প করতে করতে তারা আটচালার সামনে এসে পৌঁছচ্ছে। আটচালার সামনের উঠোনে কয়েকটা বাচ্চা ছেলে মেয়ে খেলছে। গোমস্তাকে দেখে সব বাচ্চাগুলো দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক তার মধ্যে দিয়ে গিয়ে ঘরের ভিতর ট্রাঙ্ক আর ব্যাগ টা  রেখে বেরিয়ে আসছে। বাচ্ছাগুলোর মধ্যে একজন মেয়ে শুধু দাঁড়িয়ে আছে। গোমস্তা গিয়ে মেয়েটাকে  নিয়ে  আসছে । শ্রমিক পোস্টমাস্টার কে নমস্কার করছে, পোমা  কিছু  বখশিশ দিচ্ছে, শ্রমিক সেটা  নিয়ে  কপালে  ছুঁয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।  সেই সময় পোমা জায়গাটা হালকা ঘুরে ঘুরে দেখছে। আর মেয়েটা মাথা নিচু করে চোখ তুলে পোমাকে দেখছে। 


গোমস্তা

“ পোস্টমাস্টার বাবু। এই হচ্ছে রতন। রতন ইনি হলেন পোস্টমাস্টার বাবু। তোকে সাহেব যেমন বলে দিয়েছেন তেমনভাবে দেখে রাখবি। বেশি বিরক্ত করবিনা কিন্তু। “


রতন হালকা লজ্জা পেয়ে মাথা নারে। আর পোমা আলতো করে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে । 


গোমস্তা

“ আমি তাহলে আসছি পোস্টমাস্টার বাবু, কোনো দরকার পড়লে রতন কে বলবেন আমায় ডেকে দেবে।”


গোমস্তা চলে যাচ্ছে। রতন মাঝে দাঁড়িয়ে সেই চলে যাওয়া দেখছে। তারপর আস্তে আস্তে দরজার দিকে এগোচ্ছে। বাইরে থেকে দেখছে যে পোমা ঘরের ভেতর ট্রাঙ্ক খুলে জিনিস বের করতে করতে ঘর টা সাজিয়ে নিচ্ছে। রতন কিছুক্ষন চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছে তারপর আস্তে আস্তে ঘরের ভেতর ঢুকছে। কাট টু। 



SCENE 5


INT: ROOM: CONTINUOUS


রতন ঘরের ভিতরে এসে টেবিলের কোনা ধরে দাঁড়াচ্ছে।

 পোমা রতন কে দেখতে পেয়ে একটা চাদর হাতে দিয়ে বলছে-


পোমা

“ পাততে পারবি? “


রতন কোনো কথা না বলে চাদরটা হাতে নিয়ে খাটিয়াতে পেতে দিচ্ছে। 


পোমা

“ রাতে আমি রুটি খাই আর সকালে দুবালতি তোলা জলে স্নান করি। “


রতন

“ তাহলে আমি এখন জল নিয়ে আসি। তার আগে ভাত বসিয়ে দেব? “


পোমা

“ চাল ডাল সব কেনা আছে?”


রতন

“ হা গো পোস্টমাস্টার সাহেব। এক সপ্তাহের জিনিস কিনে দিয়েছে ওই - “


পোমা (ডাক শুনে হেসে ফেলে বলে)

“ এত বড় নামে ডাকতে হবেনা। দাদাবাবু বলে ডাকিস তাহলেই হবে। স্নানের জল তা এনে দিয়ে রান্না টা বসিয়ে  দে তাহলে। খেয়ে একবার পোস্টাপিসটা ঘুরে  আসি “


 রতন ঘরের ভেতরেই রাখা দুটো বালতি নিয়ে চলে গেলো। পোমা সেই দিকে তাকিয়ে তারপর জানলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জানলা দিয়ে রতনের দুটো বালতি নিয়ে তাড়াহুড়ো করে চলে যাওয়া দেখছে, সেই জানলা দিয়েই পোমা  চলে যাচ্ছে, ক্যামেরা সেই ঘর ছেড়ে বাইরে এসে stable হচ্ছে, বাঁদিকে রতন দাঁড়িয়ে দেখছে পোমা যাচ্ছে, পোমা দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে।

 কাট টু। 



SCENE 6


INT: ROOM: VILLAGE NIGHT


গ্রামের এক গোয়ালঘর থেকে ধোঁয়া উঠছে। ঝোপে ঝিল্লি ডাকছে। দূরে কোথাও থেকে বাউল গান ভেসে আসছে। হালকা হাওয়ায় গাছের পাতা নড়ছে। প্রদীপের আলোয় পোমা একটা বই পড়ছে। বই পড়তে পড়তে অন্যমনস্ক হয়ে কিছু ভাবছে।


পোমা

“ রতন। “


রতন বাইরে উঠোনে বসে রাতের আকাশ দেখছে। 


পোমা

“ রতন… “


রতন (বাইরে থেকে)

“ কি গা বাবু? ডাকছো কেন?”


পোমা

“ তুই কি করছিস?”


রতন

“ এখনই চুলো ধরাতে যেতে হবে… হেঁশেলের।”


পোমা

“ তোর হেঁশেলের কাজ পরে হবেখন - একবার তামাকটা সেজে দেতো। “


পোমা বইটা বুকের ওপর রেখে ছাদের দিকে তাকিয়ে বসে আছে। কিছুক্ষন পর রতন গাল ফুলিয়ে কলিকায় ফুঁ দিতে দিতে ঘরে ঢুকছে। বইটা পাশে সরিয়ে রেখে রতনের হাত থেকে কলিকাটা ফস করে নিয়ে জিজ্ঞেস করছে।


পোমা

“আচ্ছা রতন, তোর মাকে মনে পরে?”


রতন সেই কথার কোনো উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করছে। পোমা বোঝে যে হঠাৎ এই প্রশ্ন করা উচিত হয়নি। তাই পরিস্থিতি হালকা করার জন্য ও বলছে। 


পোমা

“ কলকাতায় আমার বাড়িতে কে কে আছে জানিস?”


রতন আগল কেটে কিছুটা উৎসাহিত হয়ে তাকাচ্ছে। 


পোমা

“ মা আছেন, দিদি আছে আর একটা ছোটভাই আছে। ভাইটা খুব চঞ্চল জানিস। সবসময় কিছু না কিছু ভাঙতে হবে তাকে।  দিদি অবশ্য খুব ভালোবাসে আমায়। তুই যদি আমার মাকে দেখ্তিস তাহলে বুঝতিস। মা মেয়ে খুব ভালোবাসে। তোকে খুব আদর করতো। “


রতনের চোখ ছলছল করে ওঠে। আস্তে আস্তে মাটিতে বসে বলছে। 


রতন

“ আমার একটা ছোটভাই ছিল। ওই যে পানাপুকুর, সেখানে আমরা  মিছিমিছি মাছ ধরা খেলতাম। আমার বাপ্ আমায় বেশি ভালোবাসতো। খুব আদর করতো। মাঠ থেকে ফিরে এসে সাঁঝবেলায়ে আমাকে আর ভাই কে কত্ত গপ্পো শোনাতো। কিন্তু একদিন আর  ফিরলো না বাপ্ টা মাঠ থেকে। ”


( বলতে বলতে রতন উদাস হয়ে যায়।  পোমা সেটা বুঝতে পেরে বলে ওঠে)


পোমা 

“দিদির কাছে আমি আর ভাই ছোটবেলায় কত্ত গল্প শুনেছি জানিস ? তোকে সেসব গল্প আমি শোনাবো।”


 রতন ( আবার খুশি হয়ে বলে )

“দিদিকে বুঝি একদম দুগ্গা মায়ের মতো দেখতে?”


পোমা 

“সে একরকম ঠিকই  বলেছিস। কিন্তু তুই কিকরে জানলি আমার দিদিকে কেমন দেখতে?” 


রতন 

“আমি ঠিক জানি। ”


পোমা ( হেসে উঠে )

“সে তো বুঝলাম।  কিন্তু কত রাত হলো খেয়াল আছে? খেতে দিবিনা ? আজ আর রাঁধতে হবে না।  সকালের তরকারিটা আছে না? তুই বরং চটপট খানকতক রুটি সেঁকে আন।” 


রতন তাড়াতাড়ি করে  উঠে চলে যায়।  পোমা আবার প্রদীপের আলোর কাছে গিয়ে বইটা নিয়ে পড়তে গিয়ে উঠে টেবিলে বইটা রাখছে। চেয়ার এ বসে একটা চিঠি লিখছে। dual superimpose - চিঠি লেখা/ রান্না করা। ( music কুল নাই কিনার নাই)

 কিছুক্ষন পর রতন কয়েকটা রুটি, আর তরকারি আর বেগুনভাজা নিয়ে ঘরে ঢুকছে। দুজনে খাচ্ছে আর খুব গল্প করছে। 


পোমা

“তুই  কিকরে জানলি রে আমি বেগুনভাজা ভালোবাসি? একদম আমার মায়ের মতো হয়েছে।”


রতন

“আমি ঠিক জানি।”


পোমা রতনের দিকে তাকিয়ে হাসছে।  camera  ধীরে ধীরে ঘরের বাইরে বেরিয়ে একদম পরিষ্কার ঝকঝকে আকাশে reveal  হচ্ছে। আর ওদের গল্পের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, সাথে ঝিল্লির ডাক। 

Dip to black




SCENE 7

ENT: DAOA : VILLAGE NOON :


      হালকা মেঘলা দুপুরে গ্রামের গাছপালা হাওয়ায় দুলছে। মাঝে মাঝে হালকা রোদ উঠছে আর কিছুক্ষন আগে হয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফোটা ফোটা জল ঘাসের ডগায় ঝিকমিক করছে। দূর থেকে একটা পাখির একটানা ডাক শোনা যাচ্ছে। রতন পেয়ারাতলায় পা ছড়িয়ে বসে একটা কাঁচা পেয়ারা খাচ্ছে।  পোমা আটচালার দাওয়ায় বসে উদাস হয়ে তাকিয়ে আছে। একবার বই হাতে নিয়েও আবার রেখে দিচ্ছে। অনেক্ষন আগে রতনের দিয়ে যাওয়া হুঁকো একপাশে পরেই আছে।  আকাশে সূর্য আর মেঘের আনাগোনা লেগেই আছে।  পোমা সেদিকে দেখতে দেখতে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ডাক দেয় , 


                                                           পোমা  

                                                          “ রতন ” 

                           

       রতন পেয়ারা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছুটে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলছে 


রতন 

“দাদাবাবু ডাকছো ?”


পোমা

“ তোকে আমি একটু একটু করে পড়তে শেখাবো। বস এখানে। ”


পোমা উঠে ঘরে গিয়ে ট্রাঙ্ক থেকে একটা স্লেট আর পেন্সিল নিয়ে আসছে। রতন কে সামনে বসিয়ে অ আ লেখা শেখাচ্ছে। পড়ানোর  B ROLL . ট্র্যাকআউট শট। কাট টু। 



SCENE 8


INT: ROOM (MIXED): NIGHT


বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে বারবার। বৃষ্টির শব্দ কানে তালা লাগিয়ে দিচ্ছে। রাতের অন্ধকারে পুকুরের জলে বৃষ্টি পড়ছে আর ব্যাঙ ডাকছে । ঘরের ভেতর প্রদীপের আলো হাওয়াতে কমছে বাড়ছে। প্রতিদিনের অভ্যেস মতো রতন স্লেট পেন্সিল নিয়ে ঘরে ঢুকছে। ঢুকে দেখছে যে পোমা বিছানায় চুপচাপ চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। পোমা ঘুমোচ্ছে ভেবে রতন ফিরে যাচ্ছে। সেই সময় পোমা ডাকছে। 


পোমা

“ রতন!”


রতন (এগিয়ে এসে বলছে)

“ দাদাবাবু ঘুমোচ্ছিলে?”


পোমা

“ শরীরটা ভালো বোধ হচ্ছে না - দেখ তো আমার কপালে হাত দিয়ে। “


রতন স্লেট  টেবিল এর ওপর রেখে পোমার কপালে হাত দিয়ে দেখছে। কপালে হাতের ছোয়া পেতেই পোমা হালুসিনেট করছে ওর মাকে। কম আলোয় আবছায়ায় দেখছে যে ওর মা কপালে পট্টি দিচ্ছে। হাত পা ধুয়ে দিচ্ছে। তারপর ঘর থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রতন দৌড়োচ্ছে গোমস্তাকে ডাকতে। তারপর দুজনে কবিরাজের বাড়ি যাচ্ছে। কবিরাজকে নিয়ে দুজনে ফিরে আসছে। ঘরের ভেতর সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। কবিরাজ বটিকা দিচ্ছে। গোমস্তা জল এনে দিচ্ছে। রতন মাথার পট্টি চেঞ্জ করছে। 

কবিরাজ চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর গোমস্তাও চলে যাচ্ছে। রতন বটিকা খাওয়াচ্ছে। তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া করছে। এই গোটাটা একটা ট্র্যাকআউট শট এ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে । 


SCENE 9


INT: ROOM: DAYLIGHT


রতন পোমার মাথার কাছে বসে তালপাতার পাখা দিয়ে হাওয়া করছে। জানলা দিয়ে সূর্যের আলো ঢুকছে। পোমা আস্তে আস্তে চোখ খুলছে। চোখ খুলে যাকে দেখছে তাকে ব্লার এ মা বলে মনে হলেও ফোকাস আসলে তাকে রতন দেখছে। হালকা হেসে বলছে। 


পোমা 

“ তুই কি সারারাত জেগে ছিলি নাকি রে ?”


রতন চোখ বুজে হাতে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছিলো আর এক হাতে হাওয়া দিচ্ছিলো। দাদাবাবুর ডাক শুনে হাতের স্পিড বেড়ে গিয়ে ঘুম ভাঙলো। 


পোমা 

“ ঠিক আছে, ঠিক আছে, আর দিতে হবেনা হাওয়া।  আমি এখন যথেষ্ট সুস্থ আছি। আমায় একটু দুধ গরম করে দিয়ে তুই যা ঘুমো। “


এই বলে পোমা বিছানা থেকে উঠছে। উঠে দেখে যে বাইরে ওর স্নানের দু বালতি জল রাখা আছে। পেছন ফিরে দেখছে যে রতন বিছানা পরিষ্কার করছে। একটা হাসি দিয়ে পোমা স্নান করতে যাচ্ছে। কাট টু। 



SCENE 10


INT: ROOM: AFTERNOON

   

একদিন রতন দাওয়ায় বসে জোরে জোরে পড়ছে, পোমা পোস্টাপিস থেকে ফিরছে, রতন এর দিকে না তাকিয়ে ঘরে ঢুকছে, বাইরে বেরিয়ে হাত পা ধুচ্ছে, আবার ঘরে ঢুকে যাচ্ছে, 

 রতন দরজার আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখছে যে পোমা চেয়ার এ বসে খুব মন দিয়ে কিছু একটা লিখছে। সেটা দেখে রতন নিজে নিজেই স্লেট নিয়ে বাইরে দাওয়ায় বসে জোরে জোরে পড়ছে। পোমা ভিতরে একটা চিঠি লিখছে। 

Dip to black 



SCENE 11


INT: ROOM: NIGHT


একদিন রাতেরবেলা রতন স্লেট পেন্সিল নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ঘরে ঢুকে বলছে। 


রতন

“ দাদাবাবু! আমায় ডাকছিলে? “


পোমা

“ রতন কালই আমি যাচ্ছি। “


রতন

“ কোথায় যাচ্ছ দাদাবাবু? “


পোমা

“ বাড়ি যাচ্ছি। “


রতন

“ আবার কবে আসবে? “


পোমা (মুচকি হেসে)

“ আর আসবোনা। আমি বদলির জন্য দরখাস্ত দিয়েছিলাম, সেটা নামনজুর হয়েছে, তাই আমি কাজে জবাব দিয়ে কলকাতা ফিরে যাচ্ছি। “


রতন কিচ্ছু না বলে স্লেট পেন্সিল রেখে উনুন ধরাচ্ছে। মিটমিট করে প্রদীপ জ্বলছে।

ঘরের এক কোনে একটা সরার ওপর টিপ্টিপ্ করে জল পড়ছে। রতন অন্যমনস্ক হয়ে রুটি সেঁকছে। ঘোরের মধ্যে খেতে দিচ্ছে পোমাকে। পোমা খাচ্ছে আর রতন দেখছে একমনে। 


রতন

“ দাদাবাবু, আমাকে তোমাদের বাড়ি নিয়ে যাবে? “


পোমা (হেসে বলছে)

“ সে কি করে হবে? “

      রতন চুপ করে যাচ্ছে। কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে বসে থাকছে। কাট টু। 

SCENE 12


EXT: VILLAGE: NIGHT 


রাতে শুয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে রতন কানে শুধু ওই কথাটাই ভাবছে। হঠাৎ উঠে ওবাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। মাঝরাতে দুবালতি নিয়ে রতন আলপথ ধরে যাচ্ছে। পুকুর থেকে বালতি ভরে জল তুলছে। ভরা বালতি নিয়ে এসে ঘরের সামনে রাখছে। 



SCENE 13


INT: ROOM: CLOUDY AFTERNOON


রতন যেই চাদরটা প্রথম পেতেছিল সেই চাদরটাই শেষ গুছিয়ে ট্রাঙ্কে ঢুকিয়ে ট্রাঙ্ক বন্ধ করছে। মুখে কোনো কথা বলছেনা কিন্তু মুখে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট। পোমা সেটা বুঝতে  পেরে বলছে। 



পোমা

“ রতন আমি গোমস্তাকে বলে দিয়ে যাচ্ছি। আমার জায়গায় যে নতুন আসবে তাকে বলতে সে যেন তোকে আমারি মতো যত্ন করে। আমি চলে যাচ্ছি বলে তোকে কিছু ভাবতে হবেনা। “


রতন আর থাকতে না পেরে কেঁদে ফেলে বলছে।


রতন

“ না না তোমায় কাউকে কিচ্ছু বলতে হবেনা। আমি থাকতে চাইনে আর এখানে।”


এইবলে রতন কাঁদতে কাঁদতে বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে। আর পোমা অবাক হয়ে রতনের এই ব্যবহার দেখছে। কাট টু। 



SCENE 14


EXT: UTHON: CONTINUOUS


রতন তুলসী বেদির সামনে দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদছে। পোমা সব জিনিস নিয়ে এসে রতনের সামনে দাঁড়িয়ে পকেট থেকে টাকা বের করতে করতে বলছে।


পোমা

“ রতন তোকে আমি কখনো কিছু দিতে পারিনি। এটা রাখ। এতে তোর দিনকয়েক চলবে।”


রতন কাঁদতে কাঁদতে পোমার পা ধরে মাটিতে বসে পরে বলছে। 


রতন

“ দাদাবাবু তোমার দুটি পায়ে পড়ি! তোমার দুটি পায়ে পড়ি দাদাবাবু। আমাকে কিচ্ছুটি দিতে হবেনা। তোমার পায়ে পড়ি গো। আমার জন্য কাউকে কিচ্ছু ভাবতে হবেনা। “


এইবলে রতন দৌড়ে  সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। পোমা রতনের কষ্টের মাত্রা বুঝতে পেরে চুপ করে যাচ্ছে। সব জিনিস নিয়ে রওনা দিতে যাচ্ছে। পেছন ফিরে আটচালাটা একবার দেখে নিচ্ছে।মিউজিক শুরু। কাট টু। 


SCENE 15


EXT: FOREST, RIVERSHORE: CONTINUOUS


রতন কাঁদতে কাঁদতে জঙ্গলের মধ্যে দৌড়োচ্ছে। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হলো। হঠাৎ ও দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। চোখের জল মুছছে। এবার যেদিক দিয়ে দৌড়ে আসছিলো ঘুরে আবার সেদিকে দৌড়োচ্ছে। চোখের জল মুছছে। প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। রতন ঘাটে এসে দেখছে যে নৌকা নেই। রতন নদীর পার ধরে দৌড়োচ্ছে। কিছুটা দৌড়ে গিয়ে অনেক দূরে বৃষ্টির মধ্যে আবছা নৌকা দেখছে। নদীর জল পাড়ে এসে ধাক্কা মারছে। রতন জোরে জোরে দাদাবাবু দাদাবাবু বলে ডাকছে আর কাঁদছে। মাটিতে বসে পরে চিৎকার করছে। ক্যামেরা প্যান করলে নৌকার ছায়া বৃষ্টিতে মিলিয়ে যাচ্ছে। মিউজিক কন্টিনিউ হচ্ছে। টাইটেল ট্র্যাক শুরু হচ্ছে। 
























THE  END


Thursday, May 14, 2020

"Raton O Postmaster" I Film By Pirates Copy I Based on Kobiguru Rabindra...

Monday, April 27, 2020

জিনি-আস

দুটি ছেলে। একজন স্ট্রাগলিং ডিরেক্টর অন্য জন স্ট্রাগলিং লেখক। দুজনেই পাবলিশার বা প্রোডিউসার কোনোটাই পাচ্ছেনা ,প্রায় বেকার। এবার ডিরেক্টরের একটি বান্ধবী আছে তার সাথে লিভ ইন করে। এরা তিনজন একসাথে একটা ফ্ল্যাটেই থাকে। মেয়েটি চাকরি করে এবং সংসারের ৫০% খরচা নিজেই দেয় বাকি দুজন ২৫-২৫. মেয়েটি এমনি ভালো কিন্তু বড্ডো রাগী থেকে থেকেই ক্ষেপে যায় আর ক্ষেপে গেলেই বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায় , সেটা সকাল,দুপুর , মাঝরাত যখনি হোক না কেন। আর এক বার পালালো তো তাকে খুঁজে বার করা বিরাট হ্যাপা। এবার ডিরেক্টার লেখককে একদিন বললো ৭০ এর দশকের ওপর একটা সাদা কালো সিনেমা বানাবো তুই গল্প লেখ, লেখক লেখা শুরু করলো কিন্তু কিছুতেই গল্প এগোয় না। দু পাতা লেখে আর কেটে দেয় , শেষ মেস বিরক্ত হয়ে একটা সিনেমা দেখতে বসে সেখানে টেবিল ল্যাম্প ওয়ালা একটা সিন দেখে ঠিক করলো, ওর একটা টেবিল ল্যাম্প চাই তাহলে ফিল আসবে। অনলাইন অর্ডার করে দিলো। পরেরদিন যখন জিনিসটা ডেলিভারি দিতে লোক এলো তখন ডিরেক্টর আর তার পার্টনারের মধ্যে তুমুল ঝামেলা , মেয়েটি যথারীতি পালিয়ে গেল। লেখক ডেলিভারি নিয়ে। ঘর অন্ধকার করে দু লাইন লিখেছে এমন সময় পিছন থেকে একজন বললো এভাবে হবেনা ঘুরে দেখে একটা পুতুল পুতুল টাইপ মেয়ে বসে আছে লেখক ভয় পেয়ে গেল ? এ টা আবার কে ?ঘরে ঢুকলো কি করে ? ভূত নাকি ? মেয়েটা বললো ও হলো জিনি , ডিরেক্টরকে পাশের রুম থেকে ডেকে অন্য তারপর দুজনে মিলে মেয়েটাকে জেরা করতে শুরু করলো মেয়েটা বললো ও ওই টেবিল ল্যাম্পের জিনি , ও তিন খানা ইচ্ছা পূর্ণ করবে। ডিরেক্টর বিশ্বাস করবে না , পরীক্ষা করার জন্য বলবে ওর গার্ল ফ্রেন্ড কে হাত পা বেঁধে হাজির করতে , জিনি সত্যি সত্যি তাই করে দেবে , এদের মাথা খারাপ হয়ে যাবে , তারপর সবাই মাইল বাকি দুটো ইচ্ছা কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে বসবে , কিন্তু ভেবে পাবে না সময় লাগবে , তো ততদিন জিনি ওদের সাথেই থেকে যাবে। ওরা রোজ সকালে উঠে ভাববে আজকে এটা চাইবো, কিন্তু দিনের শেষে দেখবে ঠিক কোনো ভাবে জিনিসটা হয়ে গেছে , তখন আবার কি চাওয়া যাই এটা ভাবতে ভাবতে পরেরদিন চলে আসবে। জিনি এর মধ্যে তিন জনেরই আলাদা আলাদা করে কাউন্সিলিং করে তাদের হেল্প করবে।

শুকনো তেল

আমি একলা, অদ্ভুত রকমের একলা, বেশিক্ষন কাউকে নিয়ে চলতে পারিনা আবার বেশিক্ষন সাথে কেউ না থাকলে আমি হাঁপিয়ে উঠি। কি করবো বুঝে পাইনা। Perfct interval e amr 1a o jugmo chalan chai. Advut nesa eta 1ta. Sotti advut. Jeno mne hae gota bisso amr chakor. Sarbada keu na keu prostut amae sango daoar jnyo r jakhn alarm bajbe takhn abr amae 6ere jabe 1la kre. Ki vayanak situation uff!

Baire akhn bristi por6e, ami r chinu ghare bse cgrt kha6i r vb6i j dinta kivabe katlo ba kat6e, antoto ami to tai vb6i. O ki vb6e janina, haeto etai ba haeto onyoki6u. Janina ami, ki66u janina. 1ta karai er mdhe khanikta apomanito lanka, hingsattok holud, porinato jire, abanchito phoron, valolagar tel e futle j gandhota berobe, ami amr ga theke sei gandhota pa6i. Advut gandho. Nijer opor 1esathe ghenna h6e abr nijer gale nijei chumu khete e6e kr6e gale gal thekie.

Chinur bari siliguri, ka mas holo amra 1ta ghar vara kre 1sathe a6i. Amr clg ei amr dprtment e pare. Sabai vorti haoar 1mas pare o dhuke6ilo. Hotel e 6ilo, thakar jaega khuj6ilo. Ami takhn sadyo sadyo 1ta bastapacha, gharmakto, toilakto pakhir basae uthe6i. Protidin ghartake notun kre notun vabe ghenna krtm. Bomi pele khisti martam, mn kharap hole prosongsa krtm. Sei heno poristhitite chinu r amr baba mile ei ghar ba flat ta pelo. Oi pakhir basar theke anek valo. 1ta baro ghar, 1ta bathrm, 1ta balcony r 1ta choto rannaghar cum dining room. Gharer dui konae amra basa badhlam. Chinur bap ok 1ta kamdami kather khatia kine die6ilo r amr baba 10000taka die branded bed sathe kurl-on er alto chumu. r 1ta almari, dining table, computer table, showcase and bookself. atosb kre gharer ardheker besi jaegai amr dakhole chole elo. sb thk kre die sabai chole jaoar par chinu ble6ilo, "tor baba ki vblo j amra bie kre notun barite uthe6i? sune6i bier tym e loke esb dae" sedin sune hese uthe6ilm, mukhe or humour er tarif kre6ilm r mne mne asj kre6ilm j dingulo khub valo katbe. 1ta 1ta kre din chole ja6ilo r amr dingulo khub sundor vabe kete ja6ilo! amra valo bondhu hoe uthlam. ami mne mne ok khubi valo bondhu vbtm but habevabe atota prokas krtm na, barolok barir 6ele, tai jathasamvab abeg k atke rakhte sikhe6i. but o 6ilo futanto tel. altym lafa6e. akhn eta to takhn seta, sthir nei 1fotao, nae mukhe katha naeto hate kaj r naeto dutoi 1sathe. amr khub valolagto. or sathe sahoj hote partam. kin2 sei chinua aj chupchap khate bse balcony die bristi dekh6e. ami 1br amr hater dike taka6i r 1br or dike, 1br mne holo amr hate jeno pran ese6e, notun mostisker sanchar ghote6e okhane. ota apnaapni e egie ja6e chinur galata tipe dharar jnyo, abr tatkhanat mne holo koi hat ta to or galar dike ja6ena, or goponango lokhyo kre chut6e.

kal rate swapno dekh6ilm clg er, ki jeno 1ta kr6ilm sabai mile. hathat pase jantobo ki6ur uposthitite ghum venge gelo. chokh khule bujhte parlm j chinu ese sue6e pase. mne mne maya holo, vblm haeto mn kharap tai 1tu asroy cheye6e, ami or pithe 1tu hat bulie daoar jnyo hat die6i, bujhte parlm or gae jama nei, amr dike pith fire sue6ilo. hatta bolate bolate niche nam6ilm, hathat amr gae kata die uthlo. bujhlm o nicheo ki6u pareni, bastobik adam takhn amr pase. 1tu vae peye ge6ilm, hathat o amr dike fire sulo. ami hat gutie nilam. tarpar 1ta govir anondo...ghenna... bissad... nonta... valolaga... aram... testa.....

sakale ghum theke othar par dujn er keu kno katha blini. ghum theke uthe dekhi amr bichana faka, amr kurl-on er branded bed er moruvumite cactus er mto pore a6i ami. khub mn kharap holo. hathat purbojanmer mto rater katha mne porlo. chokher samne moruvumita nimese khoniker jnyo bonyovumi hoe gelo, j bonyovumita kal rate badhyovumi hoe6ilo amr.

akhn r1br kathagulo vblm, mner mdhye tolpar chol6e. 1ta dscn nite habe. hathat chinu cgrt ta fele die nijer khat theke uthe aslo. amr branded bed er samne 1ta chair nie bslo. dn blte suru krlo-
"ami ki annae kre6i?"

sab chup...

"tor babar anek paisa na?"

ami chup...

"amae ki pagol vb6is na rugi?"

charidik chup...

"amae ki dos dibi 2i?"

gharta chup...

"2i ki amae 6ere chole jabi?"

"bichanae uthe ae, chair e keno bse6is?"

ami dekhte pelam amr branded bed er kurl-on er godita dhire dhire bonyovumi hoe ja6e.

Wednesday, April 22, 2020

I wanna be the Lobster

ইয়োর্গোস ল্যান্থীমোস। যেমন নাম তেমন কাম। আপনাদের কখনো কোনো সিনেমা দেখে এরম মনে হয়েছে যে সিনেমাটা না দেখলেই পারতাম। বা কেউ কেন এরম একটা গল্প ভাববে, আর ভাবলেও কোন শুওরের বাচ্চার দিব্বি আছে যে সেটা নিয়ে সিনেমা বানাতেই হবে? প্রথমবার দেখে আমারো তাই মনে হয়েছিল। হয়তো জীবনে জ্ঞান হওয়া থেকে আজ অবধি ২ মাসের বেশি সিঙ্গেল থাকিনি কখনো তাই মর্মার্থটা ধরতে পারিনি সহজে। দ্বিতীয় বার যখন দেখলাম বুঝলাম এবসার্ডিস্ট ডিস্টোপিয়ান ব্ল্যাক কমেডি কাকে বলে। হ্যা আমি আমার মতে পৃথিবীর সেরা এবসার্ড সিনেমা "The Lobster" এর কথা বলছি।

গল্প? সেটা কিছুই না, এই মানুষের সাবকন্সাস এ যে কাজগুলো মানুষ করতে চায় কিন্তু পারেনা সেগুলো নিয়েই। না না লজ্জায় নয়, এই কাজগুলো করার কথা চিন্তা করাও পাপ। যেমন একজন মানুষ মরে গেলে ফিক করে হেসে ফেলা, মোটা কে মোটা বলে টন্ট করা, বাচ্চাদের লাথি মারা, লেংড়া কে দৌড়োতে না পারার জন্য টিটকিরি মারা, কেউ সুইসাইড করতে গেলে তাকে না আটকে তার মৃত্যুকামনা করা - এই সব কাজ আর কি! আমার পার্সোনালি ব্ল্যাক কমেডির প্রতি একটু দুর্বলতা আছে সেটা আমার গায়ের রং কালো বলে হয়তো। যাইহোক গল্প হলো গিয়ে এক সুদূর ভবিষ্যৎ এর যেখানে ১ বছরের বেশি সিঙ্গেল থাকা বেআইনি। থাকলে সরকার তোমায় একটা হোটেল এ পাঠিয়ে দেবে যেখানে ৪৫ দিনের একটা সেরেমনি চলবে এবং তার মধ্যে তোমায় তোমার জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করতে হবে অন্য সিঙ্গেলদের মধ্যে থেকে। এবং তার পরেও যদি তুমি সিঙ্গেল থাকো তাহলে তোমায় তোমার পছন্দমতো একটা জানোয়ার এ রূপান্তর করিয়ে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তারপর তুমি মরে যাও কি বেঁচে থাকো তাতে সরকারের কিচ্ছু যায় আসেনা। ডেভিড মানে কলিন ফ্যারেল যে চরিত্রটি করেছিলেন সে চেয়েছিলো একটা লবস্টার হতে। কারণ ছিল সিম্পল। লবস্টার দের বেশি খাওয়াদাওয়া করতে হয়না ,তারা অলস হয়, ১০০ বছর বাঁচে, আর তাদের গায়ের রক্ত নীল হয় আর তারা সারাজীবন যৌনতায় সক্ষম থাকে। ডিভোর্স এর পর বেচারা ডিপ্রেশন এ চলে গেছিলো তাই ১ বছর হওয়ার আগেই সে হোটেলে আসার জন্য এপলাই করে, না সঙ্গী পেতে নয়, লবস্টার হতে। সঙ্গী পেয়ে জীবনে আবার ভালোভাবে বেঁচে থাকার ইচ্ছে তার কোনোকালেই ছিলোনা, আর নিজেকে মেরে ফেলার মতো সাহসীও সে ছিলোনা। সে ভেবেছিলো এই হোটেল এই জীবন নিপাত করবে আর তারপর লবস্টার হয়ে সমুদ্রে চলে যাবে, কারণ সে সমুদ্র খুব ভালোবাসে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস কিছুদিন যেতে না যেতেই সে আবার ভালোবেসে ফেললো একজন কে। কি খুব রোমান্টিক লাগছে তো শুনতে? আমি সিনেমার প্রথম ১০ মিনিট ও বলিনি এখনো। বাকিটা জানতে হলে তো দেখতে হবে। এরপর যা হয়, সব সরকারের যেমন বিরোধী দল থাকে এই হোটেল এরও এক বিরোধী গোষ্ঠী আছে। যা ঝামেলা পাকানোর তারাই করবে এরপর। একটা প্রো টিপ্ দিতে পারি। সিনেমাটা যখন দেখবেন তখন মনে যা আসবে তাই বলবেন বা করবেন। দেখবেন ডিরেকটর কি বলতে চাইছে খুব সহজে বুঝতে পারবেন। মনের ভেতরের জটিলতাটা আটকাবেন না। ভেতরের ডার্ক সাইড কে বেরোতে দেবেন। আটকাবেন না।

আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, গ্রীস, ফ্রান্স আর নেদারল্যান্ড এই ৫টি দেশের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল এই সিনেমাটি। শুট হয়েছে ডাবলিনে। খরচ হয়েছিল মাত্র ৪ মিলিয়ন। ব্যবসা করেছে ৫ গুন্ বেশি। পুরস্কার এর কথা নাহয় বাদ দিলাম। দি-ওর, কান্স এর জুরি অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব সব পেয়ে ফাটিয়ে দিয়েছে। কালার নিয়ে অসাধারণ খেলেছেন ইয়োর্গোস ল্যান্থীমোস। নীল, সবুজ আর লালের বিভিন্ন শেড হচ্ছে প্রাইমারি কালার। গোটা সিনেমায় শুধু এই ৩টে রঙের রাজত্ব। কোনো ডার্ক শেড ছাড়া কিকরে মানুষ এত ডার্ক গল্প বলতে পারে জানিনা বাবা। গোটা সিনেমা দিনের আলোর মতো ঝকঝকে, এমনকি রাতের সিন গুলোও। ডেভিড, রবার্ট, আর জন এই ৩ টে নাম বাদে গোটা সিনেমাতে আর কোনো চরিত্রের নাম পাবেননা। এমন কি টাইটেল কার্ডেও - দা শর্ট সাইটেড ওমেন , দা ম্যান উইথ এ নোসব্লিড এরম করে নাম দেওয়া। ডিরেক্টর এর সোজা বক্তব্য ছিল ওই চরিত্র গুলোর নাম দিয়ে আপনারা কি করবেন? ওগুলো তো চরিত্র, মানুষ নয়। হু হু বাবা! বড় কঠিন কথা খুব সহজে বলে দিলেন। ওগুলো তো চরিত্র মানুষ নয়।

গোটা সিনেমায় কোনো আর্টিফিশিয়াল লাইট এবং মেকআপ ব্যবহার করা হয়নি। শুধু কলিন ফ্যারেল ৩৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন ভুঁড়ি দৃশ্যমান করার জন্য। এবার আসি কলিন ফ্যারেল এর কথায়। এই ভদ্রলোকের প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা আছে, লোকটা হাগলেও আমি হা করে দেখি। সেই SWAT এর টাইম থেকে। তারপর পুরোনো ডেয়ারডেভিলস এ বুলস আই, তারপর টোটাল রিকল। বাঁজা সিনেমা হলেও এগুলো বারবার দেখি শুধু লোকটাকে দেখবো বলে। এই সিনেমাটাও দেখেছিলাম কলিন ফ্যারেল এর ফিল্মোগ্রাফি শেষ করবো বলে। আমার মতে এই সিনেমায় ভদ্রলোক নিজের জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন। শুধু সেরা নয় একইসাথে ভয়ানক ভয়াবহ আর সুররিয়ালিস্টিক অভিনয় করেছেন। সুররিয়াল এক্সপ্রেশন ও যে দেওয়া যায় এই লোকটাকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। কি অদ্ভুতভাবে আপনাকে একটা অবাস্তব এবসার্ড জিনিস মাথায় ঢুকিয়ে দেবে আপনারই অজান্তে সিরিয়াসলি ধরতে পারবেন না।

এই সিনেমার গভীরতা আমার এই লেখার থেকে আরো অনেক বেশি। মেটাফোরিক্যাল এক্সাম্পল গুলো তো বললামই না। তবে হ্যা যারা এখনো সিঙ্গেল আছে তাদের অবশ্যই এটা দেখা উচিত। না কোনো রোমান্টিক কারণে না, বা সিঙ্গেল থেকে তুমি কতটা ভালো আছো সেটা বোঝার জন্যও না। সম্পূর্ণ আলাদা কারণে। সেই কারণটা বলা যাবেনা। কারণ সেটা সবার আলাদা আলাদা হবে, মিলবেনা। ইয়োর্গোস ল্যান্থীমোস। ভদ্রলোক নাটক এর ডিরেক্টর তাও আবার নাটকের জন্ম সেই গ্রীস দেশের। সিনেমা মাঝেমধ্যে বানান ইচ্ছে হলে কিন্তু নাটকই ডিরেক্ট করেন সবসময়। সিনেমাটা রিলিজ হওয়ার পর সবাই খুব খিস্তি মেরেছিলো। সবার একটাই বক্তব্য ছিল যে আপনি এভাবে মোটা কে মোটা, কালো কে কালো, খারাপ কে খারাপ বলতে পারেননা, আপনার কোনো এথিক্স নেই? দুটো মানুষের যখন তখন নাক দিয়ে রক্ত পরে বলে তাদের কে আপনি কাপল করে দুচতে দিলেন? এটা কি ধরণের অসভ্যতা? উত্তরে ভদ্রলোক একটাই কথা বলেছিলেন - "ফাক অফ! ইউ গাইস আর প্যাথেটিক সেলফিশ হিউমান বিয়িং। ইফ দিস সেন্টেন্স হার্ট ইউ দেন ইউ আর এলিজিবল টু ক্রিটিসাইজ মাই ফিল্ম ইফ নট দেন ইউ আর রিয়েলি আ প্যাথেটিক হিউমান বিয়িং।" কিছু বুঝলেন?

Tuesday, April 7, 2020

Old Enough Oldboy

২০০৩ সালের কানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জুরি প্রেসিডেন্ট ছিলেন টারান্টিনো। এই সিনেমাটির স্ক্রীনিং শুরু হয় এবং তারপর শেষ হয়। এমনিই টারান্টিনো একটু বেশি মেলোড্রামাটিক নিজের পার্সোনাল লাইফ এ, তো সিনেমা শেষ হলে ডিরেক্টর পার্ক চ্যাং-উক কে নিয়ে ভদ্রলোক কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান হল থেকে। নিজের হোটেল রুম এ নিয়ে গিয়ে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে পার্ক কে বলেছিলেন - " আমি কি সারাজীবনেও পারবো এরকম একটা সিনেমা বানাতে? " শুয়োরে শুওর চেনে। আনন্দে পার্কও কেঁদে ফেললেন। দুজনে তারপর সারারাত মদ খেয়েছিলেন আর সিনেমা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ফোনে দুজনের কাউকেই পাওয়া না গিয়ে কানস এর কর্তারা সেদিন ফেস্টিভ্যাল বন্ধ করে দিয়েছিলেন দুই পাগলের ওপর তরস খেয়ে আর পরদিন সিনেমাটিকে গ্রান্ড প্রী দিয়েছিলেন।  সিনেমার নাম - OLDBOY (২০০৩)

পার্ক এর রিভেঞ্জ ট্রিলজির সেকেন্ড সিনেমা এটি। একটা আর্টিকেল এ মোস্ট গ্রূসাম এন্ড হরিফিক সিনেমার লিস্টে এই সিনেমার খোঁজ পাই। তারপর দেখতে বসি। আমার সবথেকে খারাপ লাগে এই কথাটা ভেবে যে আমি এই সিনেমাটি দেখার আগে সঞ্জয় গুপ্তর জিন্দা বলে একটি সিনেমা দেখেছিলাম। এবং তারপর আমি জীবনেও সঞ্জয় গুপ্তকে ক্ষমা করতে পারিনি, আইনও ক্ষমা করেনি। কেন জানিনা আজও আমি ইমোশনাল হয়ে যাই যখুনি এই সিনেমাটা নিয়ে কথা ওঠে। ভাষায় প্রকাশ করা খুব কঠিন হয়ে পরে। সাউথ কোরিয়ার কোনো সিনেমা আমায় এতটা অবাক করেনি যতটা এই সিনেমাটি করেছিল। একটা মাঙ্গা কমিক্স থেকে এডাপ্ট করে পার্ক এই সিনেমাটি খুব যত্ন নিয়ে বানিয়েছিলেন। চৈ-মিন-সিক সে দেশের প্রথম মেথড এক্টর হিসেবে পরিচিতি পান। নিজেকে পুরো ভেঙে দিয়েছিলেন এই একটা চরিত্রের জন্য। বুদ্ধিস্ট হয়ে জ্যান্ত অক্টোপাস খেয়েছিলেন, শেষ সিন এ ওনাকে থামাতে হয়েছিল জোর করে কারণ উনি সত্যি সত্যি নিজের জিভ কেটে দিচ্ছিলেন একটুর জন্য।

এখন স্কলাররা এই সিনেমাকে নিও-নয়ার যুগের প্রথম সিনেমা হিসেবে দেখে। শুধু তাই নয়, এই সিনেমা অনেককিছুই প্রথম করে দেখিয়েছিলো। পার্ক এই প্রথম চরিত্র বুঝে শট ডিভিশন করেছিলেন। ও-দা-সু (চৈ-মিন-সিক যে চরিত্রটি করেছিলেন) এই গল্পের মূল চরিত্র। তার যখন মন খারাপ ক্যামেরাও তখন লো অ্যাঙ্গেল এ, সে যখন আনন্দ পাচ্ছে ক্যামেরাও উঠে গেলো উপরে। সে যখন উত্তেজিত হয়ে দৌড়োচ্ছে ক্যামেরাও তখন হ্যান্ডহেল্ড লং শট এ দৌড়োচ্ছে। সে যখন কোনো খারাপ কাজ করছে ক্যামেরাও ঢুকে গেলো লং থেকে তার চোখের ম্যাক্রো শট এ, সে যখন হঠাৎ শক পেলো ক্যামেরা তখন মুভমেন্ট থামিয়ে যেভাবে যেখানে ছিল স্ট্যাটিক হয়ে গেলো। যেন ছন্দ মিলিয়ে কেউ স্ক্রিন এ কবিতা লিখছে। পৃথিবী এর আগে ইমোশনাল শট ডিভিশন দেখেনি কখনো। ছিল চিরাচরিত মার্কিন স্টাইল এর মাস্টার, ক্লোস আর ওভার দ্যা শোল্ডার এর খেলা। কিন্তু খেলা যে নিয়ম পাল্টে নিলো সেটা বোধয় সেদিন তারান্তিনোই বুঝেছিলেন। নাহলে কাঁদতেন না। অনেকদিন পর প্যারাসাইট এ দেখলাম এই নিয়মে শট নিয়েছে। সবাই আমরা নোলান কে বলি কি অসাধারণ ভাবে ১৮০ ডিগ্রির রুল ব্রেক করেছেন ইন্টারোগেশন সিন এ। ও দাদা এই সিনেমায় শুধু ১৮০ নয়, ১/থার্ড , প্যানারোমিক, ডিপার্চার, সিনেফিলিক, পোস্ট প্রোডাক্ট এসেসমেন্ট এই সব মহান রুল পার্ক চ্যাং-উক ভেঙেছেন তাও আবার ঠিক এমন জায়গায় যেখানে তথাকথিত নিয়ম মানলে আসল আবেগটাই বেরোতো না। এখনো যখুনি সিনেমাটা দেখি নতুন কিছু শিখি।

এটি একটি অ্যাকশন থ্রিলার তাই গল্প বলে দিলে নরকেও আমার স্থান হবেনা। তবে কিছু জিনিস না বললেই নয়। আমি কোনোদিন ভাবিনি কাউকে প্রতিশোধ নিতে দেখে আমার এত আনন্দ হবে, আবার সেই প্রতিশোধ বিফলে যেতে দেখেও এত কষ্ট হবে। আমি কখনো ভাবিনি কোনো বাবা আর তার মেয়ে, অথবা নিজের মায়ের পেটের দুই ভাই বোনের মধ্যে যৌনদৃশ্য দেখে আমি হ্যান্ডেল না মেরে কষ্ট পাবো। কখনো ভাবিনি একটা মানুষের একটা ঘরে এতদিন কাউকে না দেখে থাকার কষ্ট দেখে আমার পেট গোলাবে। টানা ২২ বছর কেউ শুধু মোমো খেয়ে থাকতে পারে? জানিনা।

হ্যা আমি জানি এটা ফিকশন একটা মন গড়ানো গল্প কিন্তু বিশ্বাস করুন আমি ভাবতেই পারিনা এটা একটা বানানো গল্প। সবসময় মনে হয় এটা না লেখা কোনো ইতিহাস, বই এ পড়ার বদলে আমি সামনে দেখছি। যখন রক্ত বেরোয় কারোর শরীর থেকে সেই রক্তটা খুব চোখে লাগে মোনালিসার মতো, একদিকে হাসি একদিকে দুঃখ। ও-দা-সু যখন লম্বা এক করিডোর দিয়ে হাতে একটা হাতুড়ি নিয়ে সবাইকে মারতে মারতে এগিয়ে যায়, আপনার হাত ও আপনার অজান্তে উঠে যাবে মারার জন্য। হ্যা সিনেমাটা এতটাই ভালো, আর হ্যা সিনেমাটা এতটাই খারাপ। আপনার ভেতরে সব ঘেটে যাবে, হাগার জায়গা দিয়ে পেচ্ছাপ বেরোবে কিন্তু আপনি চোখ বন্ধ করতে পারবেন না। ঘেন্না লাগবে কিন্তু গালাগাল দিতে পারবেন না। একটা অদ্ভুত নিরপরাধ, বেআইনি, অনৈতিক রোলারকোস্টারের মধ্যে দিয়ে যেতে চাইবেন কিন্তু ডিরেক্টর আপনাকে কান ধরে মাটিতে নামিয়ে বলবে এটাই পৃথিবী, তাকে এভাবেই দেখ, কারণ যখন আমরা হাসি তখন সবাই আমাদের সাথে হাসে কিন্তু যখন আমরা কাঁদি তখন আমরা একলাই কাঁদি।