দুটি ছেলে। একজন স্ট্রাগলিং ডিরেক্টর অন্য জন স্ট্রাগলিং লেখক। দুজনেই পাবলিশার বা প্রোডিউসার কোনোটাই পাচ্ছেনা ,প্রায় বেকার। এবার ডিরেক্টরের একটি বান্ধবী আছে তার সাথে লিভ ইন করে। এরা তিনজন একসাথে একটা ফ্ল্যাটেই থাকে। মেয়েটি চাকরি করে এবং সংসারের ৫০% খরচা নিজেই দেয় বাকি দুজন ২৫-২৫. মেয়েটি এমনি ভালো কিন্তু বড্ডো রাগী থেকে থেকেই ক্ষেপে যায় আর ক্ষেপে গেলেই বাড়ির বাইরে পালিয়ে যায় , সেটা সকাল,দুপুর , মাঝরাত যখনি হোক না কেন। আর এক বার পালালো তো তাকে খুঁজে বার করা বিরাট হ্যাপা। এবার ডিরেক্টার লেখককে একদিন বললো ৭০ এর দশকের ওপর একটা সাদা কালো সিনেমা বানাবো তুই গল্প লেখ, লেখক লেখা শুরু করলো কিন্তু কিছুতেই গল্প এগোয় না। দু পাতা লেখে আর কেটে দেয় , শেষ মেস বিরক্ত হয়ে একটা সিনেমা দেখতে বসে সেখানে টেবিল ল্যাম্প ওয়ালা একটা সিন দেখে ঠিক করলো, ওর একটা টেবিল ল্যাম্প চাই তাহলে ফিল আসবে।
অনলাইন অর্ডার করে দিলো। পরেরদিন যখন জিনিসটা ডেলিভারি দিতে লোক এলো তখন ডিরেক্টর আর তার পার্টনারের মধ্যে তুমুল ঝামেলা , মেয়েটি যথারীতি পালিয়ে গেল। লেখক ডেলিভারি নিয়ে। ঘর অন্ধকার করে
দু লাইন লিখেছে এমন সময় পিছন থেকে একজন বললো এভাবে হবেনা
ঘুরে দেখে একটা পুতুল পুতুল টাইপ মেয়ে বসে আছে
লেখক ভয় পেয়ে গেল ? এ টা আবার কে ?ঘরে ঢুকলো কি করে ? ভূত নাকি ? মেয়েটা বললো ও হলো জিনি ,
ডিরেক্টরকে পাশের রুম থেকে ডেকে অন্য তারপর দুজনে মিলে মেয়েটাকে জেরা করতে শুরু করলো
মেয়েটা বললো ও ওই টেবিল ল্যাম্পের জিনি , ও তিন খানা ইচ্ছা পূর্ণ করবে। ডিরেক্টর বিশ্বাস করবে না , পরীক্ষা করার জন্য বলবে ওর গার্ল ফ্রেন্ড কে হাত পা বেঁধে হাজির করতে , জিনি সত্যি সত্যি তাই করে দেবে , এদের মাথা খারাপ হয়ে যাবে , তারপর সবাই মাইল বাকি দুটো ইচ্ছা কি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে বসবে , কিন্তু ভেবে পাবে না সময় লাগবে , তো ততদিন জিনি ওদের সাথেই থেকে যাবে। ওরা রোজ সকালে উঠে ভাববে আজকে এটা চাইবো, কিন্তু দিনের শেষে দেখবে ঠিক কোনো ভাবে জিনিসটা হয়ে গেছে , তখন আবার কি চাওয়া যাই এটা ভাবতে ভাবতে পরেরদিন চলে আসবে। জিনি এর মধ্যে তিন জনেরই আলাদা আলাদা করে কাউন্সিলিং করে তাদের হেল্প করবে।
No comments:
Post a Comment