Tuesday, February 28, 2017

বিপদে অস্তিত্ব


আলুর খোসায় একটা কালো দাগ,
পোকার অস্তিত্ব প্রমান করে,
ভালোলাগা কোনো সিনেমার-
চেনা দৃশ্যের মতো রাত জেগে মাছ ভাজি আমি,
একদা শিথিল কিন্তু নষ্ট মনের ভেতরে এক জীবন্ত লার্ভা-
উন্মাদ প্রেমের মতো।

একরাত জাগে, দুই রাত জাগে,
জেগে জেগে ঘুমিয়ে যায় চিরটাদিন।
ভোরের স্বপ্নের মালিকানা পেতে আসর বসে মাঝরাস্তায়।
একটুকরো শহর আমার, আমারি মতো।
যেমন জুয়াতে হেরেও হারতে চায়না জুয়াড়িরা,
ঠিক তেমনই আমার শহর আমাকে ছেড়েও ছাড়েনা-
আটকে রাখে এক উন্মত্ত নেশায়।

পরিবর্তিত কলঙ্কের নতুন রূপ দেখে খুব আনন্দ করলাম,
কিন্তু আনন্দিত হতে পারলাম না।
সাইলেন্ট কিছু ডায়ালগ নরকে পাঠালো আমাকে, ভায়োলেন্ট হতে।
শুস্ক চামড়া আর সাদা চামড়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই,
যদি না গ্লিসারিন এর দামটা বেড়ে যায়।

দরজা জানলা এক হয়ে গেলে তুমি বেরোবে কোথা দিয়ে?
জানলা দিয়ে সিগারেট এর আধপোড়া ফিল্টার ফেলে দেওয়া,
আর সিগারেট নিয়ে দরজা দিয়ে ঘরে ঢোকার মধ্যে একটাই পার্থক্য-
অস্তিত্বের। 

আমি চাই


একজন মানুষের পক্ষে দুবার জন্মানোটা পাপ,
দুজন মানুষের একইদিনে একইসাথে জন্ম হলে?
তা কি পুন্য?

চল খুঁজে বের করি লাইব্রেরির আনাচে কানাচে,
বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এ,
কিংবা তেলে ভেজা বালিশের তলায়,
বা পুরোনো মোজার ভেতরে বাসা বাধা কোনো বিষাক্ত পোকার লালায়।

চল না খুঁজে দেখি রাস্তায় রাস্তায় পথের ধারে,
বা ব্রিজ এর ওপরে উঠে-
নিচে বয়ে যাওয়া নদীর দিকে থুতু ফেলতে ফেলতে,
কিংবা ধর কোনো এক সংক্চুয়ারি থেকে-
মাইগ্রেট হয়ে আসা পাখিদের কিচির মিচিরে।

নেচার নিয়ে রোমান্স করে কি লাভ,
যদি শরীর নিয়েই না রোমান্স করতে পারলাম।
একটা নারীশরীর কে ঢেকে রাখা একটুকরো-
কাপড় ও চরম খিদের সময়ে বড় বেডকভার মনে হয়,
যেন ছিঁড়ে খুবলে ফেলে দিলেই হলো।

তারপর অতৃপ্তির নেশা, নয়তো তৃপ্তি দিয়ে পেশা, কিংবা ভালোবাসা। 

Tuesday, February 21, 2017

তপ্ত ছাগল - কথোপকথন ১


গাঁজা টেনে দুই গাঁজারু গ্যাঁজলামো করছে। অতি সাধারণ এক ঘটনা। আজকাল একটু বেশিই হচ্ছে বিষয়টা কিন্তু তাও আচ্ছা, গরু ভেড়া তো আর খাচ্ছেনা। নিরামিষ জিনিসই তো টানছে।
ধরি একজনের নাম ডিগ্রী আর আরেকজন ফারেনহাইট। বিকেলের গেরুয়া আলোতে মাঠের ধার দিয়ে দুজনে যাচ্ছিলো মোবাইল এ রং দে তু মোহে গেরুয়া শুনতে শুনতে। সামনে একটা ছাগল এসে ওদের দাঁড় করালো।

ছাগল - গাঁড়মারানিগুলো কতটা টেনেছিস?
ডিগ্রী - ব্যা ব্যা !
ছাগল - ন্যাকামো হচ্ছে? আমায় ভেংচে কি লাভ?
ফারেনহাইট - ব্যা ব্যা ব্ল্যাক শীপ, ঘুরে ঘুরে খায়-
ছাগল - খানকির ছেলে অশিক্ষিত, আমি গোট, শীপ নোই। ভেংচাবিই যদি অন্তত শিক্ষিতের মতো ভেংচা।
ডিগ্রী - আমরা তো ছাগল খেতে খুব ভালোবাসি, তোমায় যদি কেটে খাই? তোমার ভয় করেনা আমাদের দেখে?
ছাগল - সত্যি কথা বলবো বাঁড়া? তোদের থেকে বেশি ভয় আমার ঘাস খেতে লাগে, অন্য ছাগলের বাচ্চা এসে যদি খেয়ে নেয়। লেওড়া ভয় কাকে বলে জানিস?
ফারেনহাইট - কনজুরিং টু দেখে আমার হেব্বি ভয় লেগেছিলো। এখনও নান ভালাক আমার চোখে ভাসছে।
ডিগ্রী - তুই কে বে? সিনেমা দেখে ভয় পাস? না আমি জানিনা ভয় কাকে বলে!
ছাগল - গরম লোহার শিক যখন পোঁদে ঢোকাবে শিকাগোবাসী তখন বুঝবি বাঁড়া ভয় কাকে বলে।
ফারেনহাইট - এত ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে আছো কেন বলোতো? পিটা কি উঠে গেলো নাকি?
ডিগ্রী - তুমি কি পিতাহারা হয়ে গেলে? হা হা হা !
ছাগল - এই হচ্ছে সমস্যা। গ্যাঁজাখোর ছাড়া আমার কথা কেউ বোঝেনা আর আমার শালা গ্যাঁজা সহ্য হয়না।
ফারেনহাইট - তুমি একদিন সব ভুলে একটু চিবিয়ে নাও দেখবে সব ভুলে গেছো।
ছাগল - এক্সাক্টলি ওটাই আমার সমস্যা ! ঐজন্যেই খাবোনা।
ডিগ্রী - আমার বন্ধুর একটা গোল্ডেন রিট্রিভার আছে। তার গল্প তোমায় বলেছি?
ছাগল - সেও কি বাল তোদের মতোই গ্যাঁজাখোর?
ফারেনহাইট - না সে আরো বড়। গ্যাঁজলামোর জগতে সে এক উজ্জ্বল জ্যোতিস্ক ! আমরা তো ছোটোখাটো উল্কা মাত্র।
ছাগল - না এত বড় জ্যোতিস্ক আমার কর্ণগোচর হয়নি কখনো।
ডিগ্রী - সেই মালটা ছাদে গিয়ে গ্যাঁজা টানতো লুকিয়ে লুকিয়ে। ছেলে সারাদিন একা একা বাড়িতে থাকে সেইজন্য ওর বাবা একদিন একটা গোল্ডেন রিট্রিভার কিনে এনেছিল। সেই কুকুর সারাদিন ওর সাথে লেপ্টে থাকতো।
ছাগল - তারপর?
ফারেনহাইট - একদিন কি মনে করে ও একটু গ্যাঁজা কুকুরটাকে শুঁকতে দিলো।
ডিগ্রী - কুকুরটা কি মনে করে চোখের নিমেষে সবটুকু চেটে ঢোঁক গিলে নিলো।
ছাগল - তারপর???
ডিগ্রী - তারপর আর কি! এখন ছাদে ও গ্যাঁজা টানে আর রিট্রিভারটি অল্প একটু গ্যাঁজা চেটে সিঁড়িতে গিয়ে বসে থাকে। ওর বাবা বা মা কেউ ছাদে এলে ভৌ ভৌ করে। ব্যাস!
ছাগল - ছেনালি হচ্ছে লেওড়া! বিচি কেটে বাবার গলায় মালা করে ঝুলিয়ে দেব। যা খুশি তাই বলে যাবে বানচোদ! আমি কি ছাগল নাকি?
ফারেনহাইট - তো তুমি কি নিজেকে টোনি স্টার্ক মনে কারো নাকি?
ডিগ্রী - এই শোনো ! একদিন সিরিয়াসলি তোমায় কেটে খেয়ে নেবো কিন্তু।
ছাগল - ব্যা ব্যা ব্যা।
ডিগ্রী - ঢ্যামনা ছাগল শালা ! ভাগ এখান থেকে।



তপ্ত ছাগল - কথোপকথন 2 - https://fibstar.blogspot.in/2017/03/blog-post.html

জুতোর ফেরোমন


আমার একপাটি জুতো হারিয়ে গেছে,
কেউ কি খুঁজে দেবেনা আমায়?
কালরাত থেকে খুঁজে পাচ্ছিনা,
জানো? অনেক খুঁজেছি,
খুব আশা করেছি, যদি সেই জুতোর
নোংরা গন্ধটাও আমার নাকে আঘাত করে -
তাহলেই তো কেল্লাফতে।

সেই জুতোর ফেরোমনের আশায়
আমি শুঁকেছি বহু গন্ধ।
পাইনি খুঁজে আমার সেই জুতো।
জানো এই জুতো যাতে না হারায়
তার জন্য আমি কম খাটনি করিনি-

বাজারের সস্তা সোল কিনে জুতোর
গলায় ঝুলিয়েছিলাম। কিন্তু কি করে জানবো
তাতে যে জুতোর সৌল বদলায় না।
আমার আমিত্ব বদলায়।
হ্যাঁ আমি বদলেছি,
নতুন যৌবনের হরমোনের ধাক্কায়
আমি আমার জুতোর ফেরোমোনকে ভুলেছি -
তাই আমি আমার একপাটি জুতো হারিয়েছি। 

সাইড এফেক্ট


আমার লাইফ এর ক্যাটালগ এ জানিনা কোত্থেকে
এক সারি পাখি এসে বসলো।
তোমার সংরক্ষিত অভয়ারণ্য থেকে
আমার জংলী আমাজনে।
সম্ভবত মাইগ্রেট করে।
কিন্তু তার জন্যেও তো কারণ লাগে !

আমিনা সেই কারণ খুঁজে পাইনি,
আমার সম্ভাবনাময় জীবনের একটুকরো প্রমিথিউস।
সাদাকালো ডোরাকাটা দাগের ওপর
আমি পেস্ট করেছি পেন্ট,
এটা তো কারণ না।

আমার নোংরা ড্রেনের মশার লার্ভাগুলো -
আমাকে কুরে কুরে খেত,
বহুবার সুইপার দিয়ে পরিষ্কার করেছি।
কিন্তু কীটনাশকের ব্যর্থ প্রয়োগে,
এই জীবনে শুধুই সাইড এফেক্ট। 

চল রে


চল রে ভাই,
ঘুরে বেড়াই,
পাতা ছিঁড়ি,
পাতা খাই,
আনন্দ করি।

রাস্তার ধারের পানের দোকান।
ওখানে আছে মেয়েটা।
রেললাইনের ওপরের একদলা থুতু,
ওখানেও আছে মেয়েটা।
টিভিতে তো আছেই।
এখন নাকি মহাকাশেও দেখতে পাওয়া যায়।
কি সমস্যা মাইরি !
ঝামেলা আর কারে কয়?

চল রে ভাই
চল সবাই -
ইডেন এ খেলা দেখতে যাই,
ওখানে হয়তো মেয়েটা থাকবেনা।
-
-
-
যাঃ শালা ! মেয়েটা তো এখানেও। 

শব্দে


হৃদস্পন্দন
খুব বড় সত্যি হয়ে ধরা দেয়,
মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে বালিশে ঠেস দিয়ে রাখা কানটা-
শুনতে পায় সেই শব্দ,
বড় তীব্র ভাবে।
অনেকটা লেজ মাড়ানো কুকুরের আর্তনাদের মতো।
স্বল্পবিস্তর চিৎকার, অল্পবিস্তর করুনা,
আর বিস্তারিত দয়া।
আমার হৃদস্পন্দনের শব্দটা এরমই।

তাই বলে আমি কুকুর নই,
আমার কক্সিস এখনো লেজ হয়নি।
আমার শ্বদন্ত এখনো ধারালো হয়নি।
আমার চোখে আগুন আসেনি এখনো।
তবুও কেন জানিনা -
মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে আমি হঠাৎ,
কুকুর হয়ে যাই -
আমার হৃদস্পন্দনের শব্দে। 

এলকোহল


সময়ের বড় অভাবে
সময় চায় সবাই।
সময়ের হাত ধরে যে অসময় হাঁটে
এটা কেন বোঝেনা কেউ?

আমি নিজে সময় মানিনা।
আমার অবিশ্বাসের প্রতিটা কোনায় কোনায়,
অসময়ের প্রতি বিশ্বাস জমে আছে।
একইসাথে বিশ্বাস আর অবিশ্বাস কি থাকতে পারে?

এ হতে পারেনা,
আমাকে আমার সেই সময়গুলো ফিরিয়ে দাও।
যখন আমি মুক্তি চাইতাম-
বা মুক্তি চাইবার সাহসটা ছিল।
আজতো আমি নেংটা, এঁটো পানের পিক।

এ ভাই; এখানে বমি করিসনা।
আমি পরিষ্কার করতে পারবোনা।
মাসি এসব করবেনা বলে দিয়েছে -
আমার টাইম নেই -
বাথরুম এ যা -
পারিস না যখন খাস কেন?

ধর্ম

ভুরুর লোমে ঘাম জমেছে,
খুঁটে খুঁটে চামড়া তুলছি-
হাতে ঘাম লেগে যাচ্ছে,
মাথা চুলকোচ্ছি।
হাতে ঘাম লেগে যাচ্ছে,
পিঠের ফুসকুঁড়িতে হাত বোলাচ্ছি।
হাতে ঘাম লেগে যাচ্ছে -

আর কোথাও হাত দেবোনা।
হাতটা মুঠো করে চেপে রাখলাম,
কিছুক্ষন পর হাত খুললাম,
দেখি হাতে ঘাম লেগে আছে।

লোমকূপ ছাড়াও যেমন ঘাম হয়,
স্বপ্ন ছাড়াও তেমন বেহিসেবি হয় মানুষ।
ধর্ম কি ক্ষমা করবেনা আমায়?

Monday, February 20, 2017

অনেকদূর

সিনেমা দেখে ফিরছি, নাইটশো, বর্তমান যুগের মারকাটারি এক বাংলা সিনেমা, গোটা হল এ চরম মাদকতা আর উত্তেজনা, হিরো গান গাইছে, গাল দিচ্ছে, লাফাচ্ছে, মারপিট করছে, প্রেম করছে, কাঁদছে - যাই করুক না কেন গোটা সিনেমা হল চিৎকার সিটি আর হাততালিতে ভরে যাচ্ছে। প্রথম দিকে বেশ মজাই লাগছিলো, বাট যত টাইম যেতে লাগলো আমার গলা দিয়ে ঘেন্না বেরিয়ে আসতে লাগলো। অতিনাটকীয়তা, আর মাত্রাতিরিক্ত অবাস্তবতা মিলিয়ে একটি সুন্দর ইন্টারন্যাশনাল প্যাকেজ - চোখধাঁধানো স্কিম, এমন অফার কেউ ছাড়ে? না একাই   গেছিলাম, নাইটশো, গোটা হল এ একাই ছিলাম, একটা রিকশাওয়ালা পর্যন্ত ছিলোনা, নানা হল এর বাইরে না, হল এর ভেতরের কথাই বলছি। আমার তো সাইকেল ছিল। বাড়ি ফিরে দরজার তালা খুলতে খুলতে ভাবছিলাম পেছনে ফেলে আসা রাস্তাটার কথা, সিনেমা হল থেকে বাড়ি পর্যন্ত, কিছুটা সোজা, কিছুটা গলিগুজি, কিছুটা চড়াই, কয়েকটা বিপদজনক টার্ন, আর ব্যাস সামনে আমার বাড়ি। যে বাড়িতে আমি বাদে আর কিছুই নেই, নাঃ কোনো পুরোনো স্মৃতিনা।  এটাতে তো ভাড়া থাকি, নিজের বাড়ি টা বিক্রি করে দিয়েছি। সেই টাকায় আমি প্রতি উইক এ সব নতুন সিনেমা দেখি। ওই বাড়ির টাকা যতদিন থাকবে ততদিন ওই টাকায় আমি সিনেমা দেখে যাবো। তালা অনেক আগেই খুলে নিয়েছি, এতক্ষনে ঘরে ঢুকে বাথরুম এ চোখ মুখ ধুচ্ছিলাম।  এরপর একটু ভাত খেয়ে একটা সিগারেট টানতে টানতে বিছানায় হেলান দিয়ে সিনেমাটার কথা ভবছিলাম।



“এন্ড কাট! খুব ভাল হয়েছে, আজ প্যাকআপ, কাল আমরা সেকেন্ড সিন এর লাস্ট টা শুট করবো”- ডিরেক্টর বললেন এবং আবার আমাকে বললেন - “কাল তাড়াতাড়ি এসে মেকআপ এ বসে যেও, আর পারলে ফিজিক টা একটু ঠিক করো, ভালো কাজ করেছো ফার্স্ট ডে হিসেবে, অনেকদূর যাবে। ”

আমি ড্রেস চেঞ্জ করে স্টুডিওর বাইরে বেরিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে সাইকেল এ বসে রওনা দিলাম, দূরে আমার বাড়ি। 

বিচি মাথায়


লাল নগর, লাল সভ্যতা...
চির রুগ্ন পরিষ্কারের আড়ালে এক বীভৎস লুডো খেলা,
চাইনা এসব এর পাল্লায় পরে জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট করতে,
চাইনা বেঁচে থাকতে সেসব কথা ভাবতে,
যা ভাবলে আমায় রাতে বিনা কারণে মশা কামরায়।
চেয়েচিন্তে পাওয়া বিজ্ঞানই সভ্যতা নয়, অসভ্যতা।
উপনিষদ আর উপনিবেশ তৈরী করতে,
সময় আর ঘাম বোধহয় একই খরচা হয়েছিল,
তাও বলছি - নরমাংস কাটা হয়তো বা সহজ,
না জেনে কাটা কিন্তু আরো সহজ,
তাই নেক্সট টাইম কিসের মাংস খাচ্ছেন সেটা দেখে খাবেন,
হতেও তো পারে আপনার মরা কোনো আত্মীয় কে কেটে-
রান্না করে দারুন করে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনার নুডলস এ।
চিন্তা করবেন না - আপনি একলা নন এই যুদ্ধে,
আরো অনেক গাঁজাখোর বানচোদ আপনার প্রেমের সাক্ষী হবে...
ততক্ষন প্লিজ ওয়েট করুন - আগামী ভোট এর। 

কন্যাদের প্রতি

চড়ুইভাতি পর্ব শেষ হলে ফট করে চলুন ঘুরে আসি মৎস্যকন্যাদের দেশ এ, বেশি দূর না, এই কাছেই, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুননা কেন বাস এ করে অ্যাভারেজ ১-২ ঘন্টা লাগে। সেখানে আপনার শহর বা গ্রাম বা মফস্সল, কিছুই নেই, আছে আরেকটা শহর বা আরেকটা গ্রাম বা আরেকটা মফস্সল। যেটা আপনার না, অন্যের, আপনার পার্সোনাল মৎস্যকন্যা সেখানেই আছে, খুঁজে দেখতে হবে - এমনি এমনি পাবেন না।
ওয়েট ওয়েট, যাচ্ছেন কোথায়? মাছের বাজারে ছুটছেন নাকি ? এই হলো জাতের পার্থক্য আর দুর্দশার কারণ, জাতপাত উঠে গেছে অনেক আগে জানি বাট তাও জাত তুলে গাল না দিয়ে পারলাম না। কি জাত আপনার দাদা ? এখন অধিকাংশ জেনারেশন এর ছেলেমেয়েরা নাক সিঁটকোয় এটা শুনলে, এমন ভাব যেন লাস্ট পিরিয়ড কবে হয়েছিল আস্ক করছি বা লাস্ট পাশের বাড়ির বৌদি কে দেখে কবে মাস্টারবেট করেছিল।
হে হে ! নাঃ! সরি - ওগুলো আস্ক করবো কেন? ওসব হয় নাকি? ছিঃ ছিঃ! আমরা ভদ্র সমাজে থাকি! বাট আপনাদের দোষ দিচ্ছিনা, আমি নিজেও তো এরকমই ! যাইহোক টপিক থেকে সরে যাচ্ছি। ব্যাপারটা হচ্ছে যে জাত তুলে গাল দিলে গায়ে কেন লাগে যখন জাত জিনিসটা কি সেটা সমাজের একটা বড় অংশ জানেই না ! তাই না? তাহলে দাদারা আমি যাদের মৎস্যকন্যা বললাম তারা আপনার ঘরের মা, বৌ হতে পারে, বা পথের অনাথ কন্যাশিশু বা গলির পাতি বেশ্যা - পছন্দ আপনার।
অনেক সিনেমায় দেখেছি, মেয়ের চরিত্র যেমন ই হোক, হিরোর পাল্লায় পরে একদম আদর্শ নারী হয়ে যায় - এটাও কি পুরুষজাতির কম বড় এচিভমেন্ট? বলুন তো? মেয়ে যতই রগচটা, স্বাধীন, টমবয় টাইপ হোকনা কেন, সে যে মেয়ে সেটা বোঝাতে হলে একটা ছেলের কাঁধে মাথা রেখে কাঁদো কাঁদো গলায় "আমি তোমায় ভালোবাসি" এটা কেন শুনতে হবে বলুন তো? ছেলেদের ক্ষেত্রে তো এরম কোনো কম্পারেটিভ লিটারেচার এর প্রয়োজন হয়না! নাকি আমরা বাঙালি বলে জাতিভেদে সিস্টেম টা আলাদা? নাঃ! অনেক দেশের সিনেমা দেখেছি, এই নিয়মটার পরিবর্তন হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায় যে জাতিভেদে আচার, ব্যবহার, পোশাক, খাওয়া, চলন, বলন সবকিছুর পরিবর্তন হতে পারে বাট মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সব জাতেই এক।
একটা মেয়ের একলা হেটে যাওয়ার সিন হলে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউসিক টা কেন ভয় এর বা সিডিউসিং হয় বলুন তো? মজার, মন ভালো করা মিউসিক ও তো দেওয়া যেতে পারে! তাইনা? ভাবুন তো, জাতিবিদ্বেষ নাই বা রইলো, আমরা এডলফ হিটলার নাই বা হলাম বাট নিজেকে বা নিজেদের হিটলার এর জায়গায় রেখে মহিলাজাতি আর ইহুদিদের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিনা।
সরি প্লিজ কন্টিনিউ, আপনারা আরো অনেক রেপ করুন, অনেক বড় হোন, আমার আশীর্বাদ রইলো, ক্ষমতা থাকলে সম্বর্ধনা দিতাম, নেই তাই এই লেখাটা লিখলাম।

লিমিটলেস


এলেম নতুন দেশ এ,
গাঁড় টা সেখানেই মারা গেলো।
ভেবেছিলাম হয়ে যাবো যাযাবর,
যত সব আদিখ্যেতা।
নষ্ট নীড় এ কষ্ট কম হয় !
কোন বালটা বলেছে বে ?
প্রাইভেসী প্রাইভেসী প্রাইভেসী।
মা চুদে গেলো।
আমাকে আমার মতো থাকতে দাও।
গানটা আর কেউ শোনেনা।
আমি শুনি, মাইরি বলছি !
সব সম্পর্ক বিছানায় গিয়ে শেষ হয় !
ভুল কথা !
কিছু সম্পর্ক বিছানার জন্যেও শেষ হয় !
গাঁড় মারি !
পৃথিবীতে সম্পর্কের অভাব নেই !

উৎসারিত আলো


একদিন ছাদে দাঁড়িয়ে আছি, ভাবছি পুরোনো দিনগুলোর কথা, কেমন যেন লাগছিলো, মাঝে মাঝে হাসছিলাম, যখন কান্না পাচ্ছিলো, কাঁদতে চাইছিলাম, তখন দেখি আমার ডান পাশের বাড়ির ছাদে একটি কিশোরী প্রবেশ করলো, হাতে মোবাইল, ভয়ে ভয়ে চারিদিক দেখলো, তারপর কাকে যেন ফোন করলো। বেশিক্ষন না, একমিনিট হয়তো কথা বললো, মনে হলো বয়ফ্রেন্ড। আমি আর পাত্তা দিলাম না, আবার আমার ভাবনায় ডুবে গেলাম। কিন্তু কিছুক্ষন পর দেখি ওই মেয়েটার বাড়ির পাশের ছাদ দিয়ে একটি ছেলে ছাদ টপকে আসলো। আমি জলের ট্যাংকির আড়ালে ছিলাম তাই হয়তো আমাকে খেয়াল করেনি। তারপর ওরা নিজের মনে, আপন খেয়াল এ প্রেম করতে শুরু করলো।
আমার দেখতে ভালোই লাগছিলো। না ওদের দেখে মজা লাগছিলো যে তা নয়, বরং ওই দৃশ্য দেখে নিজের জীবনের কিছু টুকরো স্মৃতি মনে পড়লো। সিনেমার মতো সব দৃশ্য একে একে চোখের সামনে ভাসতে শুরু করলো।  ওর সাথে প্রথম দেখা, চোখাচুখি, ভালোলাগা, ভালোবাসা, লুকিয়ে প্রেম, ফার্স্ট কিস, ফার্স্ট  সেক্স...
তারপর পাঁচটা ইয়ার। আর তিনদিন আগে সব শেষ। আবার কান্না পেলো, কিন্তু তাও পারলাম না।
এইসময়ে আমার বাড়ির সামনে বাড়ির ছাদে একটা ছোট্ট বাচ্চা, ঘুড়ি নিয়ে দৌড়ে আসলো।  অতিকষ্টে সেটাকে হাওয়ায় ভাসাতে পারলো, তারপর নিজের মনে আপন খেয়ালে ঘুড়িটা আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছিল। আমার চোখ ওই ঘুড়িটার দিকে চলে গেলো। কিন্তু হঠাৎ ঘুড়ির সুতোটা একটা নারকেল গাছের মাথায় জড়িয়ে গেলো। ঘুড়িটা এবার স্থির, বাচ্চাটা অনেক চেষ্টা করলো। কিন্তু পারছিলো না।
এবার আমি হাসির আওয়াজ পেলাম, ডানদিকে তাকিয়ে দেখি ছেলেটা আর মেয়েটা বাচ্চাটার ওই অবস্থা দেখে হাসছে। আমার বাচ্চাটার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিলো, আসলে আমার ঘুড়িটাও তো আমার হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে, ওই ঘুড়িটা আমি আর ফিরে পাবনা।
বাচ্চাটা এখন কাঁদতে শুরু করলো, আর ছেলে-মেয়েটার হাসি আরো বেড়ে গেলো।
আমি আর সহ্য করতে পারলাম না। দুবার কান্না চেপেছি, আর পারলাম না।  কিন্তু  এইবারের বার আমি কাঁদিনি। তিনতলা থেকে ঝাঁপ মারলাম নিচে, আর কিছু ভালো লাগছিলোনা, নিচে রাস্তায় শুয়ে যখন চোখটা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন দেখলাম, ওই ঘুড়িটাও ছিঁড়ে গিয়ে উড়তে উড়তে এসে ঠিক আমার পাশে এসে পড়লো। খুব হাসতে ইচ্ছে হলো, খুব জোরে।  কিন্তু আমি একটা তীব্র সাদা আলো দেখতে পেলাম। 

চুল ও নারী


একটা ছেলে ধুকধুক করতে করতে এগিয়ে গেলো ;
মাঠ পেরোল , ছন্দ হারাল।
রোগা গা তার ,
পেটরোগা না।
চুলগুলো খুব রোগা আর পাতলা ;
দেখলে মনে হবে কেবল বসে থাকার জন্য বসে আছে।
ছুটি দিলেই পালিয়ে যাবে এক্ষুনি ,
কিন্তু ছুটির ঘন্টা বাজে কই?

এমনই কিছু ছন্নছাড়া প্রশ্ন চেপে বসে ছেলেটার মনে ;
মুখ ঠুকরে , বুক উগরে প্রশ্ন করে -
তুমি কি সত্যিই এরম মা?
অন্য ভাবে ভাবোনি না আমায়?
শুধুই ছেলে আমি? একটা চুল মাত্র?
মা বলে একদিন আমি বড় হবো ,
কিন্তু আমার চুল কি বড় হবে?

...

হতে হতে যেমন হয়না , তেমনি বলবোনা বলবোনা করেও -
বলে দিলাম একদিন আমার প্রেমিকাকে।
হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করলাম , তোর মায়ের চুল কিরম?
হাসতে হাসতে আহ্লাদী গলায় বললো - "আমারি মতন , কেন?"
প্রেমিকার মুখে মুখ লুকোতে লুকোতে মনে পড়লো হঠাৎ -
মায়ের কলেজ লাইফের কোমর অবধি ঝোলানো চুলসহ একটা ছবি ,
সেই ছবিতে আমি নেই শুধু , অন্য সব এক।
কি জানি হয়তো ছিলাম সেই চুলের মধ্যে।
আজ প্রেমিকার চুলের ভেতরে সেই অন্ধকার দেখি -
আলাদা কিছু না। 

Sunday, February 19, 2017

গ্রন্থি


লড়াই শেষ
যুদ্ধ শুরু
সামনে মেষ
চলো গুরু
হাত বোলাই
নেই উরু
খাবো চোলাই
হবো মরু
চলা শেষ
করবো শুরু

মিল থেকে অমিল হতে যতটা সময় লাগে -
তার থেকে একটু বেশি সময় ছিল আমার সাথে।
গল্প করে পার করে দিতে পারি সমস্ত পথ।
কেউ একজন বলেছিলেন যত মত তত পথ।
কিন্তু এটা কেন বলেনি যে মত কতগুলো?
আর সব মতের জন্য কি পথ রয়েছে?
কোনো কোনো মত তো পথের পরোয়া করেনা,
গলিতেও ঢুকে পরে।
যে গলিতে একবার ঢুকলে বেরোনো যায় না,
সেখানে মত কোথায় যাবে? 

চাইছি


আমার অসহায়তা উপলব্ধি করে,
আমারি এক বন্ধু এগিয়ে আসে আমার সাহায্যে-
চিরাচরিত পন্থা অবলম্বন করে।
আমি ডাক পাঠাই তাকে -
"কেন করেছিলি রে? কে বলেছিলো করতে?"
দেখতে দেখতে অনেকগুলো যুগ পেরিয়ে গেলো।
তবু প্রশ্নটা একই থেকে গেলো;
কালজয়ী হওয়ার ক্ষমতা আমার নেই,
পারবোনা আমি জয় করতে কিছু।
তবু কিছু কিছু মুহূর্তের অশালীন সাবধানতায়
আমি খুঁজছি তোমায়, ফিরছি বিবর হয়ে;
আমি চাইছি তোমার স্থাবর সম্পত্তি
চিরদিনের তরে। আমি চাইছি। 

Saturday, February 18, 2017

Composition

INTRODUCTION: Good  composition  is  arrangement  of  pictorial  elements  to  form  a  unified,  harmonious  whole. A cameraman  composes  whenever  he  positions  a  player,  a  piece  of  furniture  or  a  prop.  Placement and  movement  of  players  within  the  setting  should  be  planned  to  produce  favourable  audience reactions.  Since  viewing  a  motion  picture  is  an  emotional  experience;  the  manner  in  which  scenes are  composed,  staged,  lighted  ,  photographed  and  edited  should  mobilise  audience  reaction  ,  in  accordance to  the  script's  intent.  The  viewer's  attention  should  be  concentrated  on  the  player,  object  or  action  most   significant to the story at that moment. Composition  should  not  be  devoid  of  character.     A well  thought  out  composition  can  create  a  mood,  an  attitude  or  a  meaning  by  drawing  attention  to  both  the formal as well as the narrative material that is being employed.
PAINTING/PHOTOGRAPHY & MOTION PICTURE: Motion  Picture  composition  borrows  it’s  cardinal  principles  from  painting  and  still  photography.  In  that  sense painting  and  photography  is  a  pre-cursor  to  Cinema.  However  there  is  one  significant  difference  that  favours Motion  Picture  composition. Still  photographs  freeze  the  decisive  moment  in  one  stationary  image.  A  still  photograph  may  suggest motion,  but  it  deals  in  space  relationships  only.  It  can,  therefore,  be  well  composed  only  within  its  singular frame  of  reference.  A  motionpicture,  on  the  other  hand,  is  composed  in  both  space  and  time. The  temporal  dimension  is  just  as  important  as  linear  dimensions  and  placement  of  the  pictorial elements  within  the  frame  .  A  motion  picture  is  a  progression  of  varied  size  images.  Space  and  time relationships  between  various  elements  may  remain  the  same  or  change  as  the  picture  progresses. The  size  of  the  various  images  may  remain  the  same,  or  change  from  shot  to  shot;  or during  a  scene  if  the  players  advance  toward  or  recede  from  the  camera  or  if  the  camera  is  dollied ,  panned,  tilted  or  zoomed.  This  constantly  changing  image  pattern  tends  to  complicate  motion picture composition. However,  excessive  and  insignificant  movement  can  not  only  disturb  and  distract  the  viewer  it  can  also  ruin  the narrative possibilities. Hence movement is a critical element of motion picture composition.
BASIC COMPONENTS OF COMPOSITION •  Line •  Form •  Mass •  Movement • Colour

These  compositional  elements  speak  a  universal  language  which  trigger  similar  emotional responses  in  almost  every  viewer.  If  properly  integrated  and  employed  in  an  artistic,  imaginative,  intelligent manner they comprise a compositional language which can convey the desired mood, character and atmosphere.

INDIAN FILMS, THEN AND NOW

Through the ages of hindi , Tamil, telegu, bangali, malayalam films we thoroughly agreed and disagreed with the sense of filmmaker’s idea. We accepted every kind of films. But after a evolution of 100 years we reluctantly survived and choose the best of ideas within us. We can now create international films. We can now do whatever we want to do with our ideas. It’s a big opportunity. At least experimental works has been recognised. Film festivals are often seen at least every month. But its not a thing until it has both sides of the coin. Till now every aspirant filmmaker I not lucky enough to get a producer and make a film of his/ her own. Actually its harder than before.

Though good films are produced. But sad fully bad films are produced too. Its inevitable now. But one thing is not changed since the 1910. And that is if you got the talent you will survive. One day you will find a person or a team to do the job you need to be done.

খোলো


জামার কলারে টান পড়লে ভাবি-
ভ্রাম্যমান হয়েছি।
ছিন্নবিচ্ছিন্ন প্রশ্ন কোনো একটা মাথায় আসে,
উত্তর খুঁজতে জামা খুলতে হয়।
জামা খুলে শেওলা পড়া গায়ে দেখি;
একটা নগ্ন পৃথিবী।
সব জীবজন্তু ও জানোয়াররা একসাথে বাস করে,
চিন্তান্বিত মুখ নিয়ে -
চিৎকার করি আমি কঠোর রূপকথায়।
কঠিন বাস্তবতায় সেই শেওলাই আমায় বাঁচিয়ে দেয় -
জামা খোলা থেকে। 

প্রতীকী


স্বাধীনতা মানে নুন আর আলুপোড়া,
সেদ্ধভাতে একটু বিরিয়ানির ছোয়া-
কাতারে কাতারে মানুষ যখন বিলীন হয়-
এক ছাদের তলায় নষ্ট অন্ধকার,
ভালোবাসার চুরুটে টান দিয়ে ধোঁয়ায় প্রতিকার।
ভাবতে ভালোলাগে চাঁদ ওঠার কথায়,
সূর্যগ্রহণে চাঁদ হয় চোখের বালি;
আর আমি মন্দের ভালোর কানা মামা।
চারপাশটা দেখতে যতটা ভালোলাগে,
নিজেরটা দেখতে ততটা ভালো নাও লাগতে পারে;
সমাধান খোঁজার চেষ্টায় বৃথা আলোড়ন মনের মধ্যে।

সাম্প্রতিক ট্রেসপাসার্সের দলে নাম লিখিয়েছি
নিরুদ্দেশ হতে।
ছোটবেলার সেলফিশ জায়ান্ট আমাদের
প্রসিকিউশন এর মানে শিখিয়েছে।
বুঝতে পারিনি এখন ও জায়ান্ট এর জান্তব চিৎকার
আর নতুন বৌ এর শীৎকার একই হয়।
সুস্থ সাবলীল অন্তর্মিলনের মতো;
লেভেল এর উচ্চাকাঙ্ক্ষার।  

THE HEADLINE STALKER - PART 1

-"মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর আর কটা পতন দেখার দরকার আছে?"
অতিউৎসাহে কাগজটা প্রায় ছিড়েই যাচ্ছিলো আর একটু হলে। কাল একটা দামি দার্জিলিং এর চা কিনে এনেছে। দোকানিটা বলছিলো, জাপানি চা আর দার্জিলিং এর চা মিশিয়ে এটা নাকি হাইব্রিড চা। রাতে শোয়ার আগে এটাই মাথায় ঘুরছিলো যে কখন সকাল হবে আর কখন হাইব্রিড চা খাবে। খবরের কাগজটা পুরো ঝাঁট জ্বালিয়ে দিলো।
 মাথা ঠান্ডা করে গৌরব ভেবে দেখলো যে নাহ চা এর দিকে মন দেওয়া উচিত, ওটা প্রাইমারি।
-"বিকেলে ফেরার সময়ে গোটা গরম মশলা আর অল্প হলুদ নিয়ে এস" - গৌরব এর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাল্টা দিলো গৌরব এর বৌ।
-"আমার কোয়েশ্চেন এর উত্তর কিন্তু এটা নয়" - ব্যারিটোন ভয়েস এর ওপর ভর করে চা এ প্রথম চুমুক টা দিয়েই দিলো।
-"নাহ ঠকিনি তাহলে, আঃ কি শান্তি!"
দীপান্বিতা রান্নাঘর থেকে নাটক টা দেখছে পুরোটাই। মজাই লাগে ওর গৌরব এই ছোট বড় সব জিনিস কে সমান নজরে দেখাটা। মনে মনে ভাবে যে মানুষের কাছে চা এর টেস্ট এর কম্পিটিটর সাম্রাজ্যের পতন, সে মানুষ আর যাই হোক না কেন কারোর ক্ষতি করতে পারবেনা কখনো। যে মানুষটা এত ছোট বিষয়ে মজা পায় সে আর যাই হোক অসুখী নয়। প্রেম করার সময়ে এত ভেবে দেখেনি দীপান্বিতা, কিন্তু এখন সময় যত এগোচ্ছে ও গৌরব এর গভীরে ঢুকছে, আর যত ও গভীরে ঢুকছে তত গৌরব এর সব চালচলন, বিহেভিয়ার, ইন্সটিঙ্কট এসব এর লজিকটা ধরতে পারছে।
খুব কমপ্লেক্স মাইন্ড নয় গৌরব এর। খুব একটা ইউনিক ও নয়। আর পাঁচটা সাধারণ মধ্যবিত্ত বাঙালিদের মতোই ভাবে গৌরব, অন্তত দীপান্বিতার তো এটাই মনে হয়। তাই আজকাল গৌরব কে একটু বেশিই এনজয় করে ও। চাটা শেষ করে আবার কাগজে মন দিয়েছে ছেলেটা।
-"একটা পেন দাওতো, কালকেই তো রেখেছিলাম এখানে"। পেনটা হাতে ধরিয়ে ফাঁকা কাপ টা বেসিন এ রেখে দিলো দীপান্বিতা।
-"আমার রাতে ফিরতে লেট হবে, যেগুলো আনতে বললাম এনে রেখো প্লিজ, নয়তো রাতে মাসি আসলে তোমাকেই কিন্তু আমি পাঠাবো আবার"। কোনো রিপ্লাই না পেয়ে গৌরব এর কাছে গেলো দীপান্বিতা আরেকবার বলার জন্য।
গৌরব অন্যমনস্ক ছিল, কি একটা লিখছিলো ও খবরের কাগজে। দীপান্বিতা পেছন থেকে হাত রাখতে গেলো গৌরব এর কাঁধে। ওর চোখটা চলে গেলো খবরের কাগজের পাতায় একটা হেডলাইন এর ওপর।
গৌরব একমনে হাতে পেন নিয়ে খবর টা কারেকশন করছে। একটা লাইন এ লেখা ছিল 'ঘরের বাঁ দিকের জানলা দিয়ে' , গৌরব 'বাঁ' কেটে 'ডান' লিখলো। এরম টুকরো টুকরো আরো কিছু কারেকশন।
হাতটা আটকে গেলো দীপান্বিতার। এই হাইলি সাস্পিসিয়াস বিহেভিয়ার এর সুনির্দিষ্ট কোনো লজিক আসলোনা ওর মাথায়। আবার ভাবলো পাগলের পাগলামি হয়তোবা। ছেলেটাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের রেডি হওয়ার দিকে মন দিলো দীপান্বিতা। রাতে ফিরে এসে বিষয় টা নিয়ে সময় নষ্ট করাই ভালো।
-"আমার কোয়েশ্চেন এর উত্তর কিন্তু এখন ও পেলাম না"- হাতে পেনটা নিয়ে আঙুলের ফাঁকে রেখে পেছন ফিরে তাকালো গৌরব।
-"আমি জানি না, জানতেও চাই না" - তোয়ালে টা নিয়ে বাথরুম এ ঢুকলো দীপান্বিতা। হালকা হেসে পেন আর পেপার টা রেখে উঠে একটা বিকট আওয়াজ করে আড়মোড়া ভাঙলো গৌরব। সকালের রোদের আলোতে খবরের কাগজের খবরটা নিজে থেকেই যেন উপস্থিতি জানান দিছিলো।
""মাঝরাতে নিজের বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু এক যুবকের""

Friday, February 17, 2017

Anti Oedipus Complex


আমার নির্মেদ ভালগারিটি
আর তোমার নিৰ্ভেজাল কর্কশতা,
একই সূত্রে গাঁথা।
সারা শরীর গাঁথা ট্যাটুর ওপর,
তোমার দেওয়া বিপদ বিদারণ মন্ত্র।
তোমার শরীরের অচলায়তন এর-
বাঁধ ভেঙে একের পর এক উল্টো ইডিপাস কমপ্লেক্স।

সাময়িক বেদনা আর সাময়িক চেতনার ওপর
ভর করে কেন অভিনয় আসেনা,
সামনে এগিয়ে যাওয়ার?
দৃঢ়বিশ্বাসে রক্তকলরিত ভ্যাজাইনাল আবেগে বলার-
আমি এরম ই! কারোর কিছু তাতে এসে গেলে
- আমার ছেঁড়া যায়।

কি?
হোয়াট দা ফাক !
ইউ ক্রেজি বিচ !
কেন?
সন অফ এ বিচ !
ইউ মাদারফাকিং শিট !

হতেই পারেনা, হয়তো বা, দশটা পারের মধ্যে
একটা পারেনায় আমূল আমল দেওয়াটা অপরাধ,
তাই ... 

আননেমড


কল্পিত স্বর আর কম্পিত স্বর,
দুটোকেই একসাথে মুখে এনে,
আলতো করে কানের পাশে,
হালকা করে, ফিসফিসিয়ে
যদি নাই বলা যায় আমি তোর কাছে আছি !

তাহলে আর কি হল?

নতুন কোন বন্ধুর সাথে হঠাৎ সখ্যতা বেড়ে গেলে মনের মধ্যে
যে আপন আপন ভাব টা আসে, সেই ভাবটা আজকাল আমার প্রায় ই হয় রে...

কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই আর কোনো ভাবের মধ্যে নেই,
অন্য কিছু হয়ে গেছে
আলাদা কিছু,
অন্য কোনো ভিনদেশী জাতের।

এইভাবে আরও অনেক বছর কেটে যাবে আসা রাখি,
নাহলে আশার শেষটা দুজনের কেউ ই
দেখবোনা। ... যা হবে একসাথে হবে। 

ছড়া-কারি


বিষের নেশায় উঠলো মেতে, ভুত-পেত্নী করবে কীসে?
শাসন বাসন সব ধূলিস্যাৎ, কাঁদলে দিদি মরবে পিষে।
সব শালাকে দেখে নেবো, খাবো এবার জমজমাটি।
লাস্য, তাস্য, হাস্যকবির, সিদ্ধি খেয়েই দেবে হাঁটি।
শাস্তি মরুক, অশান্তিরাও, এমনি দেব কলির কানা?
ছাদ ভাঙলে বাপ্ দেবেনা, ফুসমন্তরে পরবে চোনা।
সবার দাবি হোক কলরব, ডেসিবেল কি খেতে পায়না?
আয়না মদন রোবট নাচি, গলার তলায় সোনা-গয়না।
ওরে ও ননদী ভেটকি মাছে, গন্ধ থাকলে আচার লাগে।
শাপশাপান্ত করলে পরে, মনের ভেতর গোলাপ জাগে।
শালা মরেও তোর আজব দাবি, মারবো সবার খাবো একা।
নিষেধ করলে কানে ঢোকেনা? ভাবছো আওয়াজ মারছি ফাঁকা???

অনু-কবিতা


  • বহুজনের হাতে চর্চিত হওয়া কোনো মেয়ে কে আমরা গুগল বলি...
            আমরা কি তাহলে মাউস এর পয়েন্টার?
  • সাপ ছোবল মারুক বা আদর করে চুমু দিক, আদতে তো সে সাপ ই...
  • কল্পনার সাইজ এর সাথে প্রেমিকার তুলনা টানলে উল্কাপাত অবশ্যম্ভাবি।
  • ব্রেক আপ এর পর ব্যর্থ প্রেমিকের কমন সেন্টেন্স
            "অনেক মেয়ে দেখেছি ভাই , কিন্তু এরম একটাও দেখিনি..."
  • পাতি,  খুব পাতি, আরো পাতি, চরম পাতি , বিচ্ছিরি পাতি একটা পাতিলেবুর দাম কত ?
  • আই নো হোয়াট ইস এটাচমেন্ট থিওরি ফর ক্রিস্ট সেক...
            আই নো হোয়াট ইস এটাচমেন্ট থিওরি মা কালীর দিব্বি...
  • ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো তোমার পিঠে tattoo করে...
  • শান্ত ধীর স্থির এক সুন্দর মুখে যদি হঠাৎ কালি ছুড়ে মারি,
           তুমি কি রাগ করবে গো ?
  • জ্যোতি বসুর জ্যোতি বুদ্ধদেব এ সঞ্চারিত হলেও,
           মানুষের প্রতি মমতা আসেনা আমার...
           কারোর বোন থাকলে দিয়ে যান না প্লিজ...
           সবাই বেকার আমাকে বানচোদ বলে...
    • চাক্ষুস করার আগে বিবাদ মিটিয়ে নাও

              কর্ণ তো এমনিও মৃত্যুমুখে সব ভুলে যায়।

    ফিশ-সেলফিশ


    সন্ধ্যে নামার আগে আমি চাই বাড়ি ঢুকতে-
    কাছাকাছি পৌঁছে গেছি প্রায়।
    চাইলে হেঁটেই চলে যেতে পারি,
    কিন্তু মাঝরাস্তায় গাড়িটা কিকরে ছাড়তে পারি ?
    গাড়িতে তেল আছে, আমার জিনিস আছে,
    সাতসকালে সব গুছিয়ে নিয়েই বেরিয়েছিলাম,
    চাইছিলাম সঠিক সময়ে পৌঁছে যেতে-
    কিন্তু পারছিনা কেন ?

    No one knows what it likes
    to not to be in the whole world.
    My fucking feelings restored my salvation
    throughout the eternity of sensational life.
    I opt to come out from the cage.
    No one is blinding me from back.
    No one tries to put me down.
    There is no competition.
    Is this the reason that i fall out?

    গাড়ির কাঁচের আবছায়া ফ্রেম এ আটকে আছি-
    বাইরে অনেকগুলো প্লেন ক্র্যাশ করলো।
    অনেক আগুন, অনেক ধোঁয়া, অনেক মৃতদেহ, অনেক ছাই।
    আমিও কি সেই ধোঁয়ায় হারিয়ে যেতে পারিনা?
    আমার কি সময় হয়নি?
    আত্মকথার সময় নার্সিসিজম করছি,
    I mean what the fuck dude!


    ডিসিশন


    অনেকদিন খোলাখুলি ভাবে হাসা হয়নি,
    সারাদিনের কাজকর্মের পর ছোট করে যদি বলি
    একটা কাজ করে দেবে?
    উত্তরে আলগা এক চিলতে হাসি দিয়ে
    বাঁকা ঠোঁটের নিঃস্তব্ধ কালো কৃত্তিমতায়,
    আমি আর ফাঁসবোনা।

    নাঃ, অসম্ভব, চমৎকার ভাবে অলস করে দেওয়া
    ছোট্ট একটা হাসির ক্ষমতা যদি এত হয়,
    মানুষটার গাটস কতটা থাকতে পারে ?
    এমন মানুষের সাথেই সারাজীবন থাকা যায়,
    যাই হোক না কেন একটা এডভেঞ্চার তো হবে !

    মালটার এটিচুড


    মা বলেছে স্বর্ণমুদ্রা, 
    রৌপ্য দিয়ে বেচতে যাওয়ায়,
    তাম্রলিপ্ত ভিরমি খায়।  

    বাবা বলেছে জীবনটাকে,
    নাকের দড়ির জড়তা কাটে,
    নস্যি মেরে হাঁচি দিলেই মিতে যায়। 

    ম্যাডাম বলেছেন বেঁচেই না থাকলে, 
    জীবনটাকে পোষ মানিয়ে মজা করে, 
    সারাদিনভর চর্চা করে হবে কি? 

    আমি বলেছি বেঁচে থেকে জীবনটাকে- 
    সোনার দড়ি দিয়ে নাকে ঘোরাবো।  
    (এর পরের লাইন টি আসা করবেন না,
    সিরিয়াসলি বলছি এর বেশি কিছু লিখিনি)

    ভেবে দেখ না !


    কলমের জোর কিন্তু কালির কোয়ালিটি দিয়ে মাপা হয়না ! 
    কারোর চাহিদার ও কোনো ইউনিট হয়না ! 
    চারদিনের প্রেম ও প্রেম যদি তার মধ্যে ভালোলাগা থাকে।  
    সত্যি সত্যি কালো মনের মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল ,  
    যদি তার গায়ের রং দিয়ে সতীদাহর রোমান্স মাপা না হয় ! 

    চিরকালীন নিয়ম ভাঙার গান শুনতে শুনতে,
    চাপা কিছু করুন কণ্ঠ প্রতিবাদ করতে ভুলে যায় ! 
    একটা ছোট ভুল ও ভুল যদি তার মধ্যে সততা থাকে।   
    আমার চাওয়াপাওয়ার মানে এপিটাফ এর গায়ে লেখা থাকবে না।   
    তাহলে এত চাপ নেওয়া কেন ভাই ?  
    নিজের মতো করে থাকো র থাকতে দাও ! 
    পোশাক পরিবর্তন করলেই রুচির পরিবর্তন হয়না ! 
    যদিনা আন্ডারওয়ার টা সেম থাকে !