সিনেমা দেখে ফিরছি, নাইটশো, বর্তমান যুগের মারকাটারি এক বাংলা সিনেমা, গোটা হল এ চরম মাদকতা আর উত্তেজনা, হিরো গান গাইছে, গাল দিচ্ছে, লাফাচ্ছে, মারপিট করছে, প্রেম করছে, কাঁদছে - যাই করুক না কেন গোটা সিনেমা হল চিৎকার সিটি আর হাততালিতে ভরে যাচ্ছে। প্রথম দিকে বেশ মজাই লাগছিলো, বাট যত টাইম যেতে লাগলো আমার গলা দিয়ে ঘেন্না বেরিয়ে আসতে লাগলো। অতিনাটকীয়তা, আর মাত্রাতিরিক্ত অবাস্তবতা মিলিয়ে একটি সুন্দর ইন্টারন্যাশনাল প্যাকেজ - চোখধাঁধানো স্কিম, এমন অফার কেউ ছাড়ে? না একাই গেছিলাম, নাইটশো, গোটা হল এ একাই ছিলাম, একটা রিকশাওয়ালা পর্যন্ত ছিলোনা, নানা হল এর বাইরে না, হল এর ভেতরের কথাই বলছি। আমার তো সাইকেল ছিল। বাড়ি ফিরে দরজার তালা খুলতে খুলতে ভাবছিলাম পেছনে ফেলে আসা রাস্তাটার কথা, সিনেমা হল থেকে বাড়ি পর্যন্ত, কিছুটা সোজা, কিছুটা গলিগুজি, কিছুটা চড়াই, কয়েকটা বিপদজনক টার্ন, আর ব্যাস সামনে আমার বাড়ি। যে বাড়িতে আমি বাদে আর কিছুই নেই, নাঃ কোনো পুরোনো স্মৃতিনা। এটাতে তো ভাড়া থাকি, নিজের বাড়ি টা বিক্রি করে দিয়েছি। সেই টাকায় আমি প্রতি উইক এ সব নতুন সিনেমা দেখি। ওই বাড়ির টাকা যতদিন থাকবে ততদিন ওই টাকায় আমি সিনেমা দেখে যাবো। তালা অনেক আগেই খুলে নিয়েছি, এতক্ষনে ঘরে ঢুকে বাথরুম এ চোখ মুখ ধুচ্ছিলাম। এরপর একটু ভাত খেয়ে একটা সিগারেট টানতে টানতে বিছানায় হেলান দিয়ে সিনেমাটার কথা ভবছিলাম।
“এন্ড কাট! খুব ভাল হয়েছে, আজ প্যাকআপ, কাল আমরা সেকেন্ড সিন এর লাস্ট টা শুট করবো”- ডিরেক্টর বললেন এবং আবার আমাকে বললেন - “কাল তাড়াতাড়ি এসে মেকআপ এ বসে যেও, আর পারলে ফিজিক টা একটু ঠিক করো, ভালো কাজ করেছো ফার্স্ট ডে হিসেবে, অনেকদূর যাবে। ”
আমি ড্রেস চেঞ্জ করে স্টুডিওর বাইরে বেরিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে সাইকেল এ বসে রওনা দিলাম, দূরে আমার বাড়ি।
“এন্ড কাট! খুব ভাল হয়েছে, আজ প্যাকআপ, কাল আমরা সেকেন্ড সিন এর লাস্ট টা শুট করবো”- ডিরেক্টর বললেন এবং আবার আমাকে বললেন - “কাল তাড়াতাড়ি এসে মেকআপ এ বসে যেও, আর পারলে ফিজিক টা একটু ঠিক করো, ভালো কাজ করেছো ফার্স্ট ডে হিসেবে, অনেকদূর যাবে। ”
আমি ড্রেস চেঞ্জ করে স্টুডিওর বাইরে বেরিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়ে সাইকেল এ বসে রওনা দিলাম, দূরে আমার বাড়ি।
No comments:
Post a Comment